ইংল্যান্ড আর জয়- এই দুটি শব্দ এক হয়ে যেতে পারতো যদি বিরাট কোহলিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিতে পারতেন জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্যাম কুরান কিংব বেন স্টোকসরা। অথচ একা এক ভারত অধিনায়কই কি না নাছোড়বান্দা। এজবাস্টনে তিনি হারতেই রাজি নন। নিজের দলকে ধীরে ধীরে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার এক অসম্ভব পণ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। অবিচল এবং দৃঢ়চিত্তে ব্যাটিং করে চলেছে ইংলিশদের আগুনঝরা বোলিংয়ের সামনে।
Advertisement
এজবাস্টন টেস্টের শেষ দিন আজ। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে ভারত। চতুর্থদিন শেষ বিকেলে ৩৬ ওভার ব্যাট করেছে ভারতীয়রা। এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলেছে ৫টি উইকেট। রান তুলতে পেরেছে মোটে ১১০টি। এখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮৪ রান। হাতে আছে আর ৫ উইকেট।
স্কোরকার্ডের এই অবস্থা দেখলে যে কেউই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন, ম্যাচে ভালো অবস্থানে নেই কোনো দলই। শেষ দিন ইংলিশ বোলাররা জ্বলে উঠতে পারেন নিশ্চিত। তাতে জয়ের পাল্লা কিছুটা হলেও তাদের দিকে হেলানো; কিন্তু ভারতীয়রাই বা কেন জয়ের চিন্তা করবে না? উইকেটে যে এখনও দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে যাচ্ছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি! আগের ইনিংসে যার ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছিল ১৪৯ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস। যদিও বা দু’তিনবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ইতিহাসে তো আর কতবার জীবন পেয়েছেন সেটা লেখা থাকবে না। লেখা থাকবে ১৪৯ রান করে একাই কোহলি ভারতকে লড়াইয়ের রাস্তায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা থেকে টেনে তুলে এনেছেন। ভারতকে নিয়ে এসেছেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। দ্বিতীয় ইনিংসেও যখন একের পর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ইংলিশ বোলরদের সামনে আত্মাহুতি দিচ্ছিল, তখন তিনিই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। চতুর্থদিন শেষ হওয়া পর্যন্ত ৪৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন দিনেশ কার্তিক।
Advertisement
শেষ দিক জিততে হলে ভারতের প্রয়োজন ৮৪ রান। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর ৫টি উইকেট। কে জিতবে? নিশ্চিত করে বলা মোটেও সম্ভব নয়। তবে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, এই টেস্ট ড্র হচ্ছে না। ফল দেখবে ক্রিকেট। নিষ্পত্তি হবে। প্রথম ইনিংসের মত বিরাট কোহলি ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে ভারতেরই জয় নিশ্চিত। অন্যদিকে দিনের শুরুতেই যদি অগ্নিগোলকে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের বাকি অংশকে ছাই-ভস্ম করে দেন ইংলিশ বোলাররা, তবে জয় তাদেরই।
কি হবে শেষ দিন? কোন নাটক অপেক্ষা করছে এজবাস্টনে? জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement