ছুটির দিন শুক্রবার (৩ আগস্ট) কোনোভাবেই ভিসা স্ট্যাম্পিং হবে না। আগেই বলে দিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত সৌদি দূতাবাস। ভিসা জটিলতায় ১৩ হজযাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়লে এগিয়ে আসেন হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠনের (হাব) মহাসচিব। হাব মহাসচিবের চেষ্টায় বন্ধের দিনে ১৩ হজযাত্রী ভিসা পেলেন।
Advertisement
ভুক্তভোগীরা এম আলী ইন্টারন্যাশনালের (লাইসেন্স নম্বর ১৪০৬) মাধ্যমে ৩ লাখ ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৭০৬৫ ডেডিকেটেড ফ্লাইটে তারা জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। শুক্রবার সৌদি দূতাবাস বন্ধ থাকায় এই জটিলতা তৈরি হয়। এ বিষয়ে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন- হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বছর নির্ধারিত ফ্লাইটে না যেতে পারলে হজযাত্রীরা শেষে গিয়ে অসুবিধায় পড়বে। এদিকে এম্বাসি (দূতাবাস) বন্ধ। এমন জটিল পরিস্থিতিতে আমি এম্বাসির চিফ কন্স্যুলার ইব্রাহীমের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমার অনুরোধে হজযাত্রীদের সন্মানিত করেছেন। সন্ধ্যার পর ১৩ হজযাত্রীর ভিসা দিয়েছেন।’
তিনি এ জাতীয় অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে আগেভাগে তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Advertisement
ভিসাপ্রাপ্ত হজযাত্রীরা হচ্ছেন মো. আবু সুফিয়ান, রোকেয়া বেগম, দুর্জন আলী খান, আনোয়ার হোসেন খান, আসমা খানম, মো. আলী মীর, সুফিয়া খানম, বিলকিস বেগম, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন খান, মো. শরীফুল ইসলাম, ফরিদা আলী, আব্দুল হালিম মিয়া ও মো. আজহারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ বিমানে ৬৩ হাজার ৫৯৯ হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ এবং অবশিষ্ট ৫৬ হাজার ৪০১ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। চলতি বছর হজে যাওয়ার ফ্লাইট গত ১৪ জুলাই শুরু হয়েছে।
আরএম/এসআর
Advertisement