হাসলেন সপ্তাহ আগে। রেষ রইলো এখনও। হেসেই ফেঁসেছেন শাজাহান খান। হাসিমাখা ব্যঙ্গ মুখোশ এখন মানুষের মুখে মুখে। শুক্রবার শাহবাগ মোড়ে শাজাহান খানের মুখের অবয়বে বেশ কয়েকটি মুখোশ পরে তরুণদের ঘুরতে দেখা গেছে। মুখোশে দেখা যায়, মোটা কালো গোঁফ। হাসিতে মশগুল। গালে টোলপড়া। যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি শাজাহান খানের চেহারার আদলে করা মুখোশ। সবকটি মুখোশই একই ধরনের। মুখোশ পরে ব্যঙ্গ করছেন তরুণীরাও।
Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নীলা। মুখোশ পরে এসেছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে। দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের কাছে গিয়ে নীলা জানতে চাইছেন, ‘ভাই, আপনার পরিবারের কেউ মারা গেছেন? মারা গেলে বলেন, একটু হাসবো।’
পাশেই প্রাচ্য নামের আরেক তরুণ মুখোশ পরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছেন। এমন দৃশ্য কৌতুহল নিয়ে অবলোকন করছেন উৎসুক জনতাও।
কথার বাণে জর্জরিত করতে মন্ত্রী শাজাহান খানের তুলনা নেই। কথার তীরে ঘায়েল করেই বিরোধী শিবিরে সমালোচিত তিনি। নানা সময়ে নানা মন্তব্য করে আলোচনায় থেকেছেন, সমালোচিত তিনি। আর এবার হাসি দিয়ে ফেঁসেছেন মন্ত্রী।
Advertisement
সড়ক দুর্ঘটনার জবাব দিতে গিয়ে যে হাসির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী, তাই নিয়ে এখন ট্রল হচ্ছে মিডিয়া পাড়ায়। নিন্দা ওঠছে সর্বমহল থেকে। অনেকেই তার পদত্যাগও দাবি করেছেন। নৌমন্ত্রীর হাসিমিশ্রিত মন্তব্যের সমালোচনার ঝড় বইছে গণমাধ্যমেও।
গেল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরের কথা। সড়কে তখন তাজা রক্তের দাগ। রাজধানীর শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মিম ও রাজিবের দুর্ঘটনার জবাব দেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
এ সময় তিনি পরিবহন চালকদের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছেন। এখন সেখানে কী...আমরা যেভাবে এগুলোকে নিয়ে কথা বলি, এগুলো কি ওখানে বলে? আমি মনে করি, এ বিষয়ে যদি আপনারা আলোচনা করতে চান, এটা নিয়ে পরে আলোচনা হবে।’ অট্টহাসিতেই কথাগুলো বলছিলেন মন্ত্রী।
এরপরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে দেশবাসী। এখন শিক্ষার্থী আর পরিবহন শ্রমিক-মালিক পাল্টাপাল্টি অবস্থানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে যোগাযোগ ক্ষেত্রে।
Advertisement
এএসএস/এসআর