দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা

কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। সড়কে চলছে না কোনো দূরপাল্লার বাসও।

Advertisement

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।কখন শেষ হবে এ ধর্মঘট তারও কোনো হদিস নেই। ফলে কুয়াকাটায় অল্প সময়ের জন্য বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করলেও শুক্রবার সকাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং কুয়াকাটাও কোনো বাস আসেনি। এ কারণে কুয়াকাটায় নতুন কোনো পর্যটক আসতে পারেনি।

আবাসিক হোটেল সৈকতের স্বত্ত্বাধিকারী ও কুয়াকাটা যুব সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তার হোটেলে অবস্থানরত ১৮টি রুমে থাকা পর্যটক আটকে আছে। তাদেরকে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে কম ভাড়ায় পুনঃরায় রুম দিতে হয়েছে।

Advertisement

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট জানান, প্রায় শতাধিক পর্যটক কুয়াকাটায় বিভিন্ন হোটেলে আটকা পড়েছে। কেউ কেউ ভেঙে ভেঙে নিজ গন্তব্যে চলে গেছে। পর্যটকের সংখ্যাও কমেছে।

পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রুটের বাস চলাচলে যেভাবে বাধা দিচ্ছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে তাতে সড়কে বাস চলাচল করা সম্ভব নয়। এ কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সড়কে শিক্ষার্থীদের চলমান এ আন্দোলন শেষ হলে আবারও বাস চলচল শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

এমএএস/এমএস

Advertisement