দেশজুড়ে

শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ফিরলেই বাস চলবে

সড়ক নিরাপদ মনে হলেই রাজশাহী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যাবে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুনজুর রহমান পিটার।

Advertisement

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে আমাদের একাত্মতা রয়েছে। তারা রাস্তায় নেমে চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের দাবিগুলো নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন তারা বিদ্যালয়ে ফিরে যাবে। এরপরই রাস্তায় চলবে যান।

মুনজুর রহমান পিটার উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহন সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।

পিটার বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সরকার হটানোর নয়। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ভেতরে ঢুকে পড়েছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। তারাই উসকানি দিচ্ছে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে। সেটি মাথায় রেখে পথে সহিংসতা এড়াতে নিজেরাই এ বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Advertisement

যাত্রী ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পরিবহনখাত পুরোপুরি সেবামূলক। আমরা মানুষের সেবা করতেই চাই। জনগণকে জিম্মি করতে চাই না। নিরাপত্তার সার্থে আপাতত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে যাত্রী পেলে দূরপাল্লার বাস সন্ধ্যা থেকেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবি ওঠার পর দেশজুড়ে অবৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের পাকড়াও এবং ফিটনেস সনদ যাচাই জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযোগ উঠেছে, হঠাৎ বাস বন্ধ করে আইন অমান্যকারীদের রক্ষার চেষ্টা করছে পরিবহন মালিকপক্ষ।

তবে পিটার বলেন, যে সকল চালক আইন অমান্য করবেন, আইনবিরোধী কাজে যুক্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে আমরা। এছাড়া যে সকল মালিক ফিটনেসবিহীন যান রাস্তায় নামাবেন, দুর্ঘটনার জন্য তারাও দায়ী হবেন। প্রচলিত আইনে তারাও শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এনিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের বাসে ওঠার সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী শ্রমিক ইউনিয়মের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এর আগে কোনো ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহী থেকে কোনো রুটেই যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। কেবল চলাচল করছে বিআরটিসি বাস। এর বাইরে প্রতিদিনই প্রায় সাড়ে ৫শ বাস রাজশাহীর অভ্যন্তরীণ, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। বাস বন্ধ থাকায় এ খাতের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক পুরোপুরি বেকার।

বাস না থাকায় পথে নেমে ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে বিকল্প যানে বিভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি দিয়েছেন লোকজন। কেউ কেউ অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে চেপেছেন ট্রেনে। বাস বন্ধের ফলে চাপ বেড়েছে ট্রেনে। তবে সময় মতই রাজশাহী ছেড়েছে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস