ভিসা জটিলতায় ১৩ হজযাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হজ এজেন্সি এম আলী ইন্টারন্যাশনাল (লাইসেন্স নম্বর-১৪০৬) এর মাধ্যমে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে বিপাকে পড়েছন এই হজযাত্রীরা।
Advertisement
শনিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৭০৬৫ ডেডিকেটেড ফ্লাইটের টিকিট কাটা থাকলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি এখনও ভিসা করাতে পারেননি। শুক্রবার সৌদি দূতাবাস বন্ধ থাকায় এই ১৩ জনের হজযাত্রা এক রকম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হজযাত্রীদের কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না এম আলী ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ আলী।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা সবাই এখন হজ ক্যাম্পে অবস্থান করলেও এজেন্সি মালিকের হদিস পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন- হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, এমন একটি বিষয় আমরা শুনেছি। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।ভুক্তভোগী হজ যাত্রীরা হচ্ছেন, মো. আবু সুফিয়ান, রোকেয়া বেগম, দুর্জন আলী খান, আনোয়ার হোসেন খান, আসমা খানম, মো. আলী মীর, সুফিয়া খানম, বেলকিস বেগম, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন খান, মো. শরীফুল ইসলাম, ফরিদা আলী, আব্দুল হালিম মিয়া ও মো. আজহারুল ইসলাম।
Advertisement
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রায় ৫০টি হজ এজেন্সি এখনও আড়াই হাজার হজযাত্রীর অনুকূলে বাড়িভাড়া নিশ্চিত না করাসহ বিমানের টিকিট সংগ্রহ করেনি। এ কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থার প্রায় পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টিকিট অবিক্রিত রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ বিমানে ৬৩ হাজার ৫৯৯ হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ এবং অবশিষ্ট ৫৬ হাজার ৪০১ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। চলতি বছর হজে যাওয়ার ফ্লাইট গত ১৪ জুলাই শুরু হয়েছে।
আরএম/জেএইচ
Advertisement