শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বাস মালিকরা সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। তবে সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
Advertisement
শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, এ পর্যন্ত চার শতাধিক গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। সে জন্যই রাস্তায় যানবাহন নামছে না। আমরা যখন সড়ক নিরাপদবোধ করবো তখন থেকে গাড়ি নামাবো।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মালিক-শ্রমিকরা স্ব উদ্যোগে গাড়ি বন্ধ রেখেছে। পরিবহন মালিক সমিতি বা শ্রমিক সংগঠনগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো ধর্মঘট নেই।
Advertisement
এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা চালকদের আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি। আইন অনুযায়ী দোষীদের যে শাস্তি হোক আমরা তা মেনে নেব।
ঘটনার পরপরই গণপরিবহনে ভাঙচুর শুরু হয়। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চারশর মতো বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আটটির মতো বাস সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারণে মালিকরা যানবাহন এবং শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণভাবে একমত। তারা যে দাবিগুলো দিয়েছে সেগুলো সরকার মেনে নিয়েছে। ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন ক্লাসে ফিরে যায়। আমরা যেন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পারি। কারণ এ আন্দোলন যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে অন্য কেউ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে। সরকারের সব পদক্ষেপের বিষয়ে আমরাও একমত।
তিনি বলেন, আমরা যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক রাখতে নাইট কোচ চালু রেখেছি। এক্সপোর্ট ইমপোর্টের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য ট্রাক চলছে। কিন্তু নাইট কোচেও রাত সাড়ে ৯টার সময় বাধা দেয়া হচ্ছে। তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?
Advertisement
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বাস মালিকদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন বাস নামানোর জন্য এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনো সড়কে নিরাপত্তা বোধ করছি না। এ কারণেই গাড়ি নামাতে পারছি না। তারা আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমরা যখন দেখবো কোনো সমস্যা হচ্ছে না তখন গাড়ি চালু হয়ে যাবে।
লাইসেন্সহীন চালকদের গাড়ি না দেয়ার জন্য মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সধারী চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালামসহ শ্রমিক ও পরিবহন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/জেএইচ/এএইচ/এমএস