বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের প্রতারণার কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখন আর বিশ্বাস করে না। বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজধানীসহ সারাদেশে যে আন্দোলন চলছে এটি দেশের সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
Advertisement
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশ আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক এই উপ-রাষ্ট্রপতি ও আইনমন্ত্রী।
‘সরকার বিএনপির সঙ্গে টেলিফোন নয় সংলাপ করতে বাধ্য হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এই সরকার গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না। মুখে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কথা বলে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। দুর্নীতি আর দুঃশাসনের রোল মডেল হিসেবে দেশকে দাঁড় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গণকে র্যাব, পুলিশ এবং বিচার বিভাগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যার কারণে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এগুলো মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
Advertisement
মওদুদ বলেন, 'সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই সরকার নিজেদের পছন্দ মতো ভিসি বসিয়েছে। এই সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তারা প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটাই প্রমাণ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় এই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নির্লজ্জ মিথ্যাচার, প্রতারণার সরকারের আচরণে দেশের মানুষ মর্মাহত।’
মওদুদ বলেন, ‘আরও একটু অপেক্ষা করুণ, গণ-বিস্ফোরণ ঘটছে, ঘটবে। দেশের মানুষ মাঠে নামবে। টেলিফোনে কথা নয়, সংলাপ করতে এই ফ্যাসিবাদী সরকার বাধ্য হবে। বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জনগণও আগামীতে মাঠে নামবে।’
তিনি বলেন, 'শিক্ষর্থীদের আন্দোলন একটি অংশ মাত্র। ছাত্রদের এক অংশের বিস্ফোরণ সরকার কন্ট্রোল করতে পারছে না।দেশের মানুষের ক্ষোভ কীভাবে কন্ট্রোল করবেন? দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কিছু করার জন্য। তাদের মনে ক্ষোভ দেশে গণতন্ত্র নেই, হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাশেংর চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর