আন্তর্জাতিক

কাতার দখলের পরিকল্পনা করেছিল সৌদি ও আমিরাত

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। গত বছর দেশটির সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সংকট শুরুর প্রথম দিকে তারা এ পরিকল্পনা করে।

Advertisement

আমেরিকার দৈনিক ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। পত্রিকাটি বলছে, আগ্রাসনের ষড়যন্ত্র পাকানোর পেছনে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ। তাদের পরিকল্পনা ছিল আমিরাতের সহযোগিতায় সৌদি আরবের পদাতিক সেনারা কাতারের ১০০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়বে এবং রাজধানী দোহা দখল করে নেবে।

মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুসারে, সৌদি আরবের ভেতরে থাকা কাতারের গোয়েন্দারা বিষয়টি ২০১৭ সালের গ্রীস্মেই আঁচ করতে পারেন। কয়েক মাস পর ব্রিটিশ ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা রবার্ট ম্যালি বলেন, ২০১৭ সালের গ্রীস্মকালে কাতারের কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন, তাদের দেশ সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

Advertisement

দ্যা ইন্টারসেপ্ট বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো উসকানি দিয়ে কাতারে সামরিক আগ্রাসন চালানোর প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। গত বছর সংকট শুরুর পর আরব আমিরাত বহুবার কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের দাবি করেছিলেন কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন মুহাম্মাদ আল-আতিয়া। ওই সময় তিনি বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তার দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। গত বছর কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সংকট শুরুর প্রথম দিকে তারা এ পরিকল্পনা করে।

মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খালিদ বিন মুহাম্মাদ আল-আতিয়া বলেন, কাতারকে অস্থিতিশীল করার জন্য রিয়াদ ও আবুধাবি সব ধরনের চেষ্টা করেছে; কিন্তু আমরা তা ব্যর্থ করেছি। তারা আমাদের দেশের ভেতরে সামরিক হস্তক্ষেপেরও পরিকল্পনা করেছিল।

কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা বিভিন্ন উপজাতিকে উসকানি দেয়ার চেষ্টা করেছে। এ কাজে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মসজিদকে ব্যবহার করেছে। এরপর তারা কিছু পুতুল ব্যক্তিকে আমাদের নেতাদের জায়গায় বসানোর চেষ্টা করে।

Advertisement

তিনি বলেন, কাতারের সাবেক আমিরের এক আত্মীয়কে ক্ষমতায় বাসানোর চেষ্টা করেছিল তারা। তবে তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। দেশের জনগণ তাদের আমিরকে ভালোবাসেন।

এসআইএস/জেআইএম