কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে অভিনব উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। শুধু নৌমন্ত্রী বা সড়কমন্ত্রী নয়, এ দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রদের অভিনব, তীব্র আন্দোলনে সরকার বাধ্য হয়েছে নতি স্বীকার করতে। শিক্ষার্থী নিহতের পর শাজাহান খান যা বলেছেন এটা কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না। তাদের (নিহতদের পরিবারের) প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন না করে উল্টো তিনি ভারতের কথা বলেছেন (উদাহরণ), তারপর হেসেছেন। মন্ত্রী এত নির্লজ্জ হতে পারে। মন্ত্রীদের বৈঠকেও তিনি ছিলেন। প্রথম দাবি তো নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সমস্ত জায়গায় অরাজকতা চলছে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতারক সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একেবারেই শেষ। তারা যেভাবে পারে বিরোধী মতকে দমন করছে। এ বিষয়গুলো জনগণের জানা আছে।’
Advertisement
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ওনার বিচারটা তিনি করে যেতে পারছেন না। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। কোথাও কেউ বলেনি, কোনো সাক্ষ্যে কেউ তাকে দায়ী করেননি, প্রমাণও নেই। অথচ জিয়াউর রহমানকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত বর্তমান পরিস্থিতির মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি এমন বক্তব্য রাখলেন।’
তিনি বলেন, ‘তাহলে আমরাও তো দায়ী করতে পারি যে, আপনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার ১৭ দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান নিহত হন। কিন্তু এ ধরনের কথা আমরা সমীচীন মনে করি না। এগুলো করলে অনেক সময় কেচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কেএইচ/এনএফ/আরআইপি
Advertisement