রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স যাচাই করছেন তারা।
Advertisement
সকাল থেকে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স যাচাই করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজসহ আশেপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় পুলিশ হেটকোয়াটারে গাড়ি আটকে দেন তারা।
গাড়িটির ড্রাইভার ছিলেন কনেস্টবল মাসুম বিল্লাহ। তার ভাষ্য, লাইসেন্স আছে বাসায়। আর লাইসেন্স হালকা থেকে ভারী করার জন্য চট্টগ্রামে দেয়া হয়েছে। যা এখনো হাতে পায়নি। পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে কাজের জন্য কোর্টে এসেছি।
গত রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী।
Advertisement
চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
দুর্ঘটনার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন সড়কে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আন্দোলন করছে তারা।
এদিকে রোববার ও সোমবার র্যাবের পৃথক অভিযানে রেষারেষিতে অংশ নেয়া জাবালে নূরের ৩ বাসের চালক ও দুই হেলপারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ঘাতক বাস চালক মো. মাসুম বিল্লাহকে (৩০) ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বাকি ৪ জন হেলপার মো. এনায়েত(৩৮), গাড়ির চালক মো. জুবায়ের(৩৬) এবং চালক মো. সোহাগ (৩৫) ও হেলপার রিপনকে(৩২) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেএ/এমবিআর/আরআইপি
Advertisement