কৃষি ও প্রকৃতি

মাছের পোনা সংগ্রহের আধুনিক পদ্ধতি

কৈ, শিং ও মাগুর মাছের পোনা পরিবহনে একটু ভিন্নতা রয়েছে। মাছগুলো কাঁটাযুক্ত হওয়ায় বড় আকারের পোনা অক্সিজেন ব্যাগে পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়। শিং ও মাগুরের ছোট পোনা অক্সিজেন ব্যাগে পরিবহন করাই উত্তম। তাই যে কোনো উৎস থেকে পোনা সংগ্রহ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা ভালো।

Advertisement

এ পদ্ধতিতে পলিথিন ব্যাগে পানি এবং অক্সিজেনসহ পোনাকে প্যাকেট করে পরিবহন করা হয়। সাধারণত বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ৬৬ সেমি x ৪৬ সেমি আকারের পলিথিন ব্যাগে পোনা পরিবহন করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ২টি করে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম। কোন কারণে যদি একটি ব্যাগ ছিদ্র হয়ে যায় তবে দ্বিতীয়টি পানি, অক্সিজেন ও পোনা রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

> আরও পড়ুন- চিতল মাছ চাষ করবেন যেভাবে

পোনা প্যাকিং করার সময় সমান আকারের দুটি পলিথিন ব্যাগ নিয়ে একটি অন্যটির ভেতর ঢুকিয়ে তার একতৃতীয়াংশ পানি দ্বারা ভর্তি করতে হবে এবং ব্যাগের উপরের অংশ এক হাত দিয়ে আটকে এবং অন্য হাত দিয়ে ব্যাগটিকে উল্টেপাল্টে দেখতে হবে। যেন কোন ছিদ্র পথে পানি বেরিয়ে না যায়। ছিদ্রযুক্ত পলিথিন ব্যাগ পাওয়া গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।

Advertisement

ব্যাগের সাইজ ৬৬ সেমি x ৪৬ সেমি আকারের হলে ২০-২১ দিনের কৈয়ের পোনা ২৫০-৩০০ গ্রাম এবং ৩০-৪০ দিনের শিং ও ২৫-৩০ দিনের মাগুর ৩০০-৪০০ গ্রাম (১৫-১৬শ’) পোনা ১৫-১৮ ঘণ্টার দূরত্বের রাস্তা পরিবহন করা যায়।

> আরও পড়ুন- রুইজাতীয় মাছের সঙ্গে পাবদা ও গুলশার মিশ্র চাষ

কৈ, শিং ও মাগুরের পোনা ৪-৬ ঘণ্টার ভ্রমণে ১-১.৫ কেজি পর্যন্ত প্রতিব্যাগে পরিবহন করা যায়। প্রয়োজনীয় পোনা পানিসহ পলিথিন ব্যাগে রেখে পলিথিনের বাকি অংশ অক্সিজেন দিয়ে পূর্ণ করে সুতলি বা রাবার ব্যান্ড দিয়ে ভালোভাবে বেঁধে নিতে হবে, যাতে অক্সিজেন বেরিয়ে যেতে না পারে। পোনা পরিবহনের জন্য পানির তাপমাত্রা ২২-২৭০ সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা উচিত। পানির তাপমাত্রা বেশি হলে অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা কমে যায়।

পরিবহনকালে পলিথিন ব্যাগ যাতে ছিদ্র হতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। সম্ভব হলে পলিথিন ব্যাগ বস্তায় ভরে পরিবহন করতে হবে।

Advertisement

এসইউ/এমএস