জাতীয়

বীমা দাবির নিষ্পত্তি না করার ৪শ’ অভিযোগ সংসদীয় কমিটিতে

দেশের বিভিন্ন বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে বীমাদাবি নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে গ্রাহকদের ৪০০টি অভিযোগ এসেছে। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেয়ার পর এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ দাবির প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক।

Advertisement

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৫তম বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এসব অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গণশুনানির আয়োজন করা হবে। দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করবে কমিটি।

বৈঠক সূত্র জানায়, গ্রাহকরা বীমা করার পর বিভিন্ন অজুহাতে দাবি নিষ্পত্তি করে না কোম্পানিগুলো। এজন্য দিন দিন বীমা কোম্পানিগুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের আস্থা হারাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে অভিযোগ দিলেও তেমন প্রতিকার পান না। এজন্য সংসদীয় কমিটি এ ধরনের অভিযোগ জানানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।

Advertisement

বৈঠক সূত্র আরও জানায়, কমিটিকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোনো তারল্য সঙ্কট নেই। তবে অতীতে কিছু ব্যাংকের ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে সাময়িক তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল যা বর্তমানে দূরীভুত হয়েছে।ব্যাংকগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত সুদ ও সার্ভিস চার্জের কারণে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হয় বলে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয় বৈঠকে। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে উচ্চ সুদহার এবং গোপন চার্জের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।

এ সময় বৈঠকে জানানো হয়, জিডিপি অনুপাতে দেশে মোট রাজস্ব আহরণ দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন এবং এ বিষয়ে বিগত ১০ বছরেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত একদশকে দেশে জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আহরণ গড়ে ১০.৩%, যা পার্শবর্তী দেশ ভারতে ১৯.৭%। এমনকি নেপালে ১৯.৬%। উন্নত অর্থনীতির দেশে জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আহরণ গড়ে ৩৫.৮%।

সংসদীয় কমিটি জানায়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। অন্যান্য দেশের রাজস্ব আয় সংগ্রহ পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনে পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়ে ভ্যাট ট্যাক্সের আওতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ফরহাদ হোসেন এবং শওকত চৌধুরী এমপি অংশ নেন।

Advertisement

এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম