আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে জিম্মিদশা, বহু হতাহতের শঙ্কা

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সরকারি একটি ভবন ধসে পড়েছে। ভবনটির প্রবেশ পথে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পর কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছে বন্দুকধারী। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে এক বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান। কিছুদিন আগে ওই শহরে ভয়াবহ এক হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

ওবায়দুল্লাহ নামের এক প্রতক্ষ্যদর্শী বলেন, মঙ্গলবার তিন হামলাকারী একটি কালো গাড়িতে করে জালালাবাদের শরণার্থীবিষয়ক বিভাগের ভবনের প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়। পরে একজন বন্দুকধারী গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।

তিনি বলেন, এক হামলাকারী মূল ফটকের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাকি দুই বন্দুকধারী ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

Advertisement

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিস্ফোরণে ৮ জন সামান্য আহত হয়েছেন। এছাড়া আহত আরো দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উদ্ধারের পর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে এখনো বিক্ষিপ্তভাবে গোলাগুলি চলছে। এতে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

নিরাপত্তাবাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেললেও, বন্দুকের গুলি এবং হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ওই এলাকায় কালো ধোয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সোহরাব কাদেরী বলেন, ৪০ জনের মতো মানুষ ভবনটির ভেতরে আটকা পড়েছেন। হামলা শুরু হওয়ার পর তারা ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, একজন জিম্মি বলেছেন, হামলাকারীরা তাদের নড়াচড়া করতে নিষেধ করছে।

প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগানী বলেন, শরণার্থী সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সঙ্গে সভা চলার সময় এ হামলা হয়। তিনি বলেন, শরণার্থী বিভাগের প্রধান ও অন্যান্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নানগারহার প্রদেশের মূল শহর জালালাবাদে ক্রমান্বয়ে হামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত এই শহরে ২০১৪ সালের শেষের দিকে ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটে।

Advertisement

সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স।

এসআইএস/এমএস