প্রবাস

মালয়েশিয়ায় এক মাসে বাংলাদেশিসহ ৪ হাজারের বেশি অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়াজুড়ে চলমান মেগা থ্রি অভিযানে এক মাসে বাংলাদেশিসহ ৪ হাজারের বেশি অভিবাসী আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। ২৭ জুলাই সাবা প্রদেশের ইমিগ্রেশন অফিস উদ্বোধনকালে দেশটির অভিবাসন বিভাগের পরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফার আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

Advertisement

১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ৫শ ৮৬টি অভিযান চালিয়ে ১৭ হাজার ৪৩৫ জনকে আটক করে। আটকদের মধ্যে কাগজপত্র যাচাই শেষে সর্বমোট ৪ হাজার ৪শ ৭৬ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও অবৈধ শ্রমিক রাখার অপরাধে ৮২ জন মালিককে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ।

পরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফার আলী জানান, জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯শ ৩৭ জনকে আটক করে। যার মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ১৯৮ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

এদিকে আটকদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে, গত ২৪ ও ২৫ জুলাই দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় ২০০ অবৈধ অভিবাসীকে একমাস থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আত্মসমর্পণ (৩+১) এর আওতায় যদি অবৈধ শ্রমিকরা দেশত্যাগ না করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু অবৈধই নয় বরং আমরা তাদের নিয়োগ দাতাদের ও আটক করবো। অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগ দাতাদের সঙ্গে কোনো আপস করব না।

মোস্তাফার আলী বলেন, এদিকে ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা (৩+১) এর আওতায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫শ ৭৪ জন দেশে ফিরে গেছেন। সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগ দাতাদের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং যার যার দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস ইস্যু করে দেশে ফেরত যেতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি এই নির্দেশ মানতে অভিবাসী শ্রমিক ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং কোনো প্রকার আপস করা হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিয়োগকারী এ প্রতিবেদককে জানান, বিগত দিনে শুধু শ্রমিকদের আটক করা হতো কিন্তু বর্তমানে নিয়োগকারীকেও আটক করা হচ্ছে। যার কারণে আমরা অবৈধ শ্রমিকদের যার যার দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এ সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। তাই আমরা আর কোন রিস্ক নিতে চাই না।

Advertisement

এ বিষয়ে কথা হয় একজন ট্রাভেল এজেন্ট মালিকের সঙ্গে, তিনি জানান বর্তমানে প্রতিদিন তাদের ট্রাভেল এজেন্ট থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন শুধু যাওয়ার টিকিট কেটে যাচ্ছে যা বিগত দিনে এ রকম ছিল না।

এমআরএম/এমএস