বিনোদন

জেলখানার গল্পে সাত পর্বের লাল দালান

নানারকম অপরাধের দায় মাথায় নিয়ে জেলখানায় বন্দি জীবন কাটান আসামীরা। অপরাধ যেমন ভিন্ন, শাস্তিও তেমন ভিন্ন। কারো দুই বছর, কারো দশ বছর কারাবাস কারোর বা সারাটাজীবন কারাগারেই কাটিয়ে দিতে হয়। কাউকে আবার ফাঁসির জন্যও অপেক্ষা করতে হয় কারাগারের চার দেয়ালে।

Advertisement

পরিবার নেই, বন্ধু নেই, আলো-বাতাসের সাক্ষাত নেই। এ এক অন্য জীবন। নানা স্বভাব আর চরিত্রের অপরাধী মানুষগুলো বন্দী হয়ে একসঙ্গে থাকতে থাকতে হয়ে ওঠে একটি পরিবার। গড়ে ওঠে তাদের মধ্যেও সুন্দর সম্পর্ক। সেখানেও থাকে হাসি, কান্না, মান, অভিমান, গান ও উৎসব।

কারাগারের ভেতরে থাকা মানুষদের গল্প নিয়েই এবার নির্মিত হলো ধারাবাহিক নাটক। ‘লাল দালান’ নামের নাটকটি নির্মিত হয়েছে ঈদের জন্য। আসছে কোরবানি ঈদে এটি প্রচার হবে সাত পর্বে, বৈশাখী টিভিতে। আদিবাসী মিজানের পরিচালনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন কামাল হোসেন বাবর, আ খ ম হাসান, জামিল হোসেন, বড়দা মিঠুসহ আরও একঝাঁক প্রিয়মুখ।

নাটকটি সম্পর্কে অভিনেতা কামাল হোসেন বাবর জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই নাটকের কনসেপ্টটি খুবই চমৎকার। প্রতিটি মানুষই পরিবার পরিজনদের ভালো রাখার তাগিদেই জীবন অতিবাহিত করে। সেই তাগিদে জেনে বা না জেনে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। শাস্তি পেয়ে কারাগারে পঁচে মরে। কেউ তাদের খোঁজ নেয় না। কী অমানবেতর জীবন তাদের কাটাতে হয় এই নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে অনুভব করেছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘হৃদয় ছোঁয়া গল্প আছে এখানে। দেখা যাবে একজন পরিবার ভালো থাকবে এই জন্যই একটা অপরাধ করে ফাঁসির আসামি হয় একজন। ক’দিন পর তার ফাঁসি হবে। এদিকে তার পরিবারের লোকজন এসে বলছে ‘তুমি তো মরেই যাবে, সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে যাও।’ এইসব দৃশ্য দর্শককে স্পর্শ করবে। নাটকে বড়দা মিঠুকে দেখা যাবে জল্লাদের ভূমিকায়। দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। আশা করছি নাটকটি প্রচারে এলে সাড়া পাবে।’

এলএ/এমএস