স্তন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্তন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদেরই প্রতিদিনের কিছু কাজ এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে অজান্তেই। কোন কাজগুলো? চলুন জেনে নেই
Advertisement
স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট হলে স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ঘুম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম, আর্দ্রতা জমে থাকা- সব মিলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকার সময়টুকুতে ব্রা ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
Advertisement
প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে পারে। এর বদলে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন এতে কী উপাদান আছে। এ্যালুমিনিয়াম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি।
চুল রঙিন করার কাজে ব্যবহৃত রঙের ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হতে পারে স্তন ক্যান্সারও। তাই ভালো ব্র্যান্ডের ভেষজ চুলের রং ব্যবহার করুন। আর সবচেয়ে ভালো হয় মেহেদি ব্যবহার করতে পারলে।
এয়ার ফ্রেশনারে থাকা প্যাথালেট নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিক যা সুগন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে, তার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বরং ফুটন্ত পানিতে এক টুকরো দারুচিনি ফেলে দিন। ঘর থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: আক্কেল দাঁত ব্যথা হলে কী করবেন?
কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে বা বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিনে, সিঙ্কেও নেপথলিন ফেলে রাখেন অনেকেই। কিন্তু এটি পুরোটাই ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি, যা কেবল পোকামাকড়কে দূরেই রাখে না, বরং আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুকিও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এরচেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।
রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে আপনি পরিস্কার করছেন, তাতে থাকা কেমিকেল কেবল আপনার স্তন ক্যান্সারই নয়, মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কেমিকেলযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন।
এইচএন/এমএস