আইন-আদালত

বিদেশে নির্যাতিত নারী শ্রমিকদের তথ্য চান হাইকোর্ট

বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতজন (নারী ও পুরুষ) শ্রমিক বিদেশে গেছেন এবং কতজন ফিরেছেন? -তার একটি সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিদেশে কতজন নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তারও একটি তালিকা চেয়েছেন আদালত।

Advertisement

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন জাগো নিউজকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদেশে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এবং তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার শারমিন সুলতানা ও সাইফুল ইসলাম সাইফ।

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতজন (নারী ও পুরুষ) কর্মী গেছেন, তাদের কতজন স্বেচ্ছায় বা সরকারের সহযোগিতায় দেশে ফিরে এসেছেন, তার তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কতজন নারী শ্রমিক শারীরিক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন সেই তালিকাও চেয়েছেন আদালত।

Advertisement

এর আগে গত সপ্তাহে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বাদি হয়ে এ রিট করেন। আজ রিটের ওপর তিনি নিজেই শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেন।

রুলে সৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব নারীকর্মী কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা এবং যারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের পুনঃবাসন ও ক্ষতিপূরণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে যেসব এজেন্সি ও বিভিন্ন ব্যক্তি যথাযথ আইন অনুসরণ না করে কাজের জন্য লোকজন বিদেশে পাঠাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারিসহ ১১ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এফএইচ/আরএস/পিআর