হতাশাময় টেস্ট সিরিজ ও ঘুরে দাঁড়ানো ওয়ানডে সিরিজের পর ক্যারিবীয় সফরে বাংলাদেশ দল এখন অপেক্ষায় ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে মাঠে নামার। বিশ ওভারের এই ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই তুলনায় বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ।
Advertisement
তবে আলোচনা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মুখোমুখি লড়াইয়ের তখন আরামে বসার উপায় নেই ক্যারিবীয়দের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয়ের হার ৩০ শতাংশের আশপাশে হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি ঠিক ৪০ শতাংশ।
তবে জয়ের শতকার হিসেব দিয়ে ঠিক বোঝানো সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত ৭৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র ২৩টি ম্যাচে। ফল হয়নি ২ ম্যাচে, পরাজয় ছিল ৫৪ ম্যাচে। আর হিসেব যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তখন ম্যাচের সংখ্যা ৬, পরিত্যক্ত হওয়া এক ম্যাচ বাদ দিলে দাঁড়ায় ৫ ম্যাচ।
ফলাফল আসা এই ৫ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ৩ ম্যাচে, বাংলাদেশের জয় ২টিতে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হওয়া এই ম্যাচগুলোয় শুরুর দিকে আধিপত্য ছিল বাংলাদেশেরই। ২০০৭ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির পর ২০১১ সালে ঘরের মাঠেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
Advertisement
অন্যদিকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসগড়া সফরে কেবল টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জয়টাই ছিল ক্যারিবীয়দের একমাত্র প্রাপ্তি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্য দুই জয় বাংলাদেশের মাটিতেই। ২০১২ সালে ওয়ানডে সিরিজে ২-৩ ব্যবধানে হারা উইন্ডিজরা জিতে নিয়েছিল একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। পরে ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে হারায় তারা।
আগস্ট মাসের প্রথম দিনেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচের ভেন্যু ২০০৯ সালে হারা সেই ওয়ার্নার পার্ক। এই ওয়ার্নার পার্কেই ছিল ২০১৪ সালের সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। তবে বৃষ্টির কারণে সেদিন ম্যাচটি অমীমাংসিত থেকে যায়।
আবারো এই ওয়ার্নার পার্কেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই স্টেডিয়ামে ২০০৯ সালের প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়েও সমতা ফেরানোর সুযোগ সাকিব বাহিনীর সামনে। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে প্রথম ম্যাচে জিতে গেলেই ফিরে আসবে মুখোমুখি লড়াইয়ে সমতা। পরে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সুযোগ থাকবে এগিয়ে যাওয়ার।
এসএএস/পিআর
Advertisement