জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর জনতা হাউজিং, টেকনিক্যাল ও কল্যাণপুরে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা কমার্স কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৪টি জাবালে নূর ও একটি তেতুলিয়া পরিবহনের বাস ভাঙচুর করা হয়।
Advertisement
বুধবার বিকেল ৫টায় মিরপুরের কলেজগুলো ছুটি হওয়ার পর এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনতা হাউজিংসহ কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার্থীরা ১৫-২০ জন গ্রুপ করে বাসে ইটপাটকেল ছুড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। জাবালে নূর বাস দেখলেই সেগুলোতে ইট ছুড়ছে। শিক্ষার্থীদের চাইলেই হুটহাট করে সরিয়ে দেয়া যায় না। আমরা তাদের টেকনিক্যালি সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।’
Advertisement
গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১/১৫ জন শিক্ষার্থী।
চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
ওই ঘটনায় আজ (সোমবার) গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়া রাজধানীর সাইন্সল্যাবে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং বিমানবন্দর সড়কের এমইএস বাস স্ট্যান্ডে সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ওই ঘটনায় জাবালে নূরের তিন গাড়ির দুই চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। গতকাল রাতে রাজধানীতের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নিহত মিমের বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Advertisement
এআর/জেএইচ/এমএস