রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় দুই ছাত্র আহত হয়েছেন।
Advertisement
সোমবার মিরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় একটি বাস বিক্ষোভকারীদের পাশ দিয়ে যেতে চাইলে সেটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বাসে থাকা ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের ছাত্র শেখ ইমন (১৮) এবং পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একই কলেজের শিক্ষাথী তুর্য (১৮) আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত ইমন জানান, তিনি কলেজ থেকে বাসায় যাওয়ার সময় ওই বাসে ওঠেন। বাসটি বিক্ষোভকারীদের পাশ দিয়ে যেতে চাইলে সেটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় জালানার কাঁচ ভেঙে তার হাতে ঢুকে যায়।
Advertisement
অন্যদিকে আহত তুর্য জানান, তিনি পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় বাসটিতে ভাঙচুর চালানো হলে কাঁচ ভেঙে তার মাথায় ঢুকে যায়।
পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহিল কাফি জাগো নিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষভের সময় একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়েছিল। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এসময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।
মারা যাওয়া দুইজন হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
Advertisement
ওই ঘটনায় গতকাল রোববার রাতেই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩৩। এ ঘটনায় জাবালে নূরের তিন বাসের দুই চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এআর/এমবিআর/জেআইএম