জাতীয়

মানবপাচারের বড় কারণ অজ্ঞতা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, মানবপাচারের সবচেয়ে বড় কারণ অজ্ঞতা। অজ্ঞতার কারণেই বিদেশগামী কর্মীরা দালালের দ্বারস্থ হয়, নিজের অধিকার সম্পর্ক সচেতন নয় বেশীরভাগ কর্মী।

Advertisement

রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম আয়োজিত ‘মানবপাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন’ পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্র্যাকের স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ্’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) মোহাম্মদ শামসুর রহমান, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের চিফ অব মিশন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, একজন কর্মীকে বিদেশে যেতে হবে বৈধ উপায়ে। যে দেশে যাবে সে দেশের ভাষা জানা থাকা উচিৎ।

Advertisement

দেশে মানব পাচারের ৪ হাজার মামলার মধ্যে মাত্র একটি মামলার আসামির শাস্তি হয়েছে। এটিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য যা যা দরকার করতে হবে।

অন্য বক্তারা বলেন, আইন থাকলেও তার প্রয়োগ বা কার্যকারিতা না থাকায় মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ২০১২ সালে মানবপাচার আইন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ১৫২টি মামলা হলেও শাস্তির ঘটনা হাতে গোনা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব মামলার অধিকাংশই বিচার হয়নি। মানবপাচার রোধে উপযোগী পদক্ষেপ না নেয়ায় গতবারের মতো এ বছরও যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে টায়ার-২ ওয়াচ লিস্টে রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, প্রতিবছর ভারতে বাংলাদশে থেকে গড়ে ৫০ হাজার নারী পাচার হয়। এই তো বছর তিনেক আগেও সাগরপথ দিয়ে হাজারো মানুষের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাড়ি জমানোর ঘটনার বিশ্বজুড়ে খবর হয়েছিল। অন্যদিকে মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে পাচারের ঝুঁকি থাকছেই।

আরএম/এনএফ/পিআর

Advertisement