রাজনীতি

প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে : খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক আজ ঐক্যবদ্ধ, রাজনীতিবিদদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তিনি বলেন, যেসব রাজনীতিবিদ অথবা দল জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। ’

Advertisement

দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট এ সভার আয়োজন করে।

খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনে এতটুকু সন্দেহ নেই এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের নাম দিয়ে যারা আসছেন, তারা সবাই অনির্বাচিত। জনগণ তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেনি। বাংলাদেশ আজকে জনপ্রতিনিধিত্বহীন একটা দেশ।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করতে হবে। তিনি এই স্বৈরাচারী বাকশালী সরকারের প্রধান অন্তরায়। ওনাকে মুক্ত করে আনতে হবে। ওনাকে মুক্ত করে বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’

Advertisement

‘বিচারিক কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের মা মুক্ত হবে না’-এমন মন্তব্য করে খসরু বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা মুক্ত হবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে, সংগ্রামের মাধ্যমে। আজকে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাগরিক ঐক্যবদ্ধ। এখন রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে কি পারবে না। তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে কি পারবে না। তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনীতিবিদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনের সংগ্রামে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য আমাদের একত্রিত হতে হবে। যারা গণতন্ত্রের শত্রু, তারা এর বাইরে থাকবে। যারা গণতন্ত্রের বন্ধু, তারা এ ঐক্যের মধ্যে আসবে।’ বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জাতি নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করছে এবং পর্যবেক্ষণ করছে কোন রাজনীতিবিদ জনগণের পক্ষে যাচ্ছে এবং কোন রাজনীতিবীদ অথবা দল জনগণের বিপক্ষে যাচ্ছে। আজ দেশের অবস্থা হচ্ছে দেশের জনগণ একদিকে আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস একদিকে। যারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দিকে যাবে, তারা চিহ্নিত হবে। যারা জনগণের পক্ষে যাবে তাদের সমর্থন জনগণের পক্ষ থেকে থাকবে। এই মুহূর্তে আমাদেরকে দলের মধ্য একতাবদ্ধ থাকতে হবে।’এ সময় তিনি নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

তিন সিটিতে সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে খসরু বলেন, ‘সিলেট, রাজশাহী এবং বরিশালের মানুষ প্রতিনিয়ত সরকারের নির্লজ্জপনা প্রত্যক্ষ করছে। সাংবাদিকরা দেখেও তা প্রচার করতে পারছে না।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকেই বলে আপনারা জেনে শুনে কেন এই সমস্ত নির্বাচন করছেন? এই প্রহসনের অংশীদার কেন হচ্ছেন, আপনারা আমরা কেন হচ্ছি? আমরা বলেছি, আমরা এজন্য হচ্ছি যে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য আমরা নির্বাচন করছি। তাদের মুখোশ বার বার উন্মোচনের জন্য আমরা বারবার নির্বাচন করছি।’

Advertisement

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. সালমান ওমর রুবেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বেপারী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

কেএইচ/এসআর/এমএস