ফিচার

সুবীরের বিচিত্র সংগ্রহশালা!

হারিয়ে যেতে বসেছে পুরনো অনেক কিছুই। জায়গা করে নিচ্ছে নতুন উপকরণ। যুগের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজন ফুরিয়ে আসছে এসব বস্তুর। যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে কাগজ-কলম! শুধু তাই নয়- পুরনো বই, সংবাদপত্র, কয়েন ও দিয়াশলাই বাক্সও হারিয়ে যাবে একদিন। তাই তো এসব নিয়েই একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন সুবীরকুমার সাহা।

Advertisement

সুবীরকুমার সাহা কলকাতার পুরাতন মালদহ ব্লকের বাসিন্দা। পেশায় তিনি পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির বাণীভবন টাউন লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান। ওই লাইব্রেরিতেই নিজের উদ্যোগে কলমের একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন তিনি। এতে পাঁচশ’রও বেশি পুরনো ও নতুন কলম সংগ্রহ করেছেন।

> আরও পড়ুন- নিউইয়র্কের পথে পথে বাংলাদেশের ফুচকা

শুধু কলমই নয়, পুরনো দিনের বিভিন্ন রকমের কয়েন, বহু পুরনো বই, সংবাদপত্র, দিয়াশলাইয়ের বাক্স তার সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে। বিশেষভাবে কলমের ওপরই জোর দিয়েছেন বেশি। তাই এ সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে খাগের কলম, পাখির পালকের কলম, ময়ূরের পালকের কলম, পাটকাঠির কলম, ফাউন্টেন পেন, বলপেন, স্কেচ পেন এবং দোয়াত।

Advertisement

তিনি বিগত বিশ বছরের বেশি সময় ধরে এসব সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। তার সংগ্রহশালায় পুরনো দিনের এক আনা, দুই আনা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সাসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েনও মজুত রয়েছে। এসবের জন্য ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি ‘সেরা লাইব্রেরিয়ান’ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। সে সময় তাকে ‘নির্মলচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’ও দেওয়া হয়।

> আরও পড়ুন- গিনেস বুকে ভারতের হিরার আংটি!

সুবীরের এই সংগ্রহশালা ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৌতূহলীরা এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। সুবীর জানান, মুঠোফোনের কারণে দিনের পর দিন গুরুত্ব হারাতে বসেছে কাগজ-কলম। সে কারণে কলম সংগ্রহ করে রাখছেন তিনি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীন এসব বস্তু নিয়ে খুব কম মানুষ চিন্তা-ভাবনা করেন।

এসইউ/পিআর

Advertisement