লাইফস্টাইল

উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়

উকুনকে চিকিৎসা বিজ্ঞান "পেডিকুলাস হিউমেনাস ক্যাপিটিস" নামে চিনে থাকে। এটি এক ধরনের প্যারাসাইটসের কারণে হয়। এই প্রাণীটির ডিম যখন কোনো কারণে চুলে জায়গা করে নেয় তখন ধীরে ধীরে সেই প্যারাসাইট সারা মাথায় বাসা বানিয়ে ফেলে। তারপর সাম্রাজ্য বিস্তার করতে করতে ছড়িয়ে পরে আরো অনেকের মাথায়। উকুনের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রয়েছে ঘরোয়া কিছু উপায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: সৌন্দর্য বাড়াতে বাদামের ফেসপ্যাক

অল্প পরিমাণে মাউথ ওয়াশ নিয়ে ভালো করে স্কাল্পে লাগিয়ে একটা তোয়ালে দিয়ে চুলটা বেঁধে নিতে হবে। এরপর ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার করে এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন আর কখনো উকুন ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল নিয়ে চুলে লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করা যায়, তাহলে উকুনের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। কারণ এই তেলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নিমেষে উকুনদের মেরে ফেলে। ফলে সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

Advertisement

অলিভ অয়েলের মতো নারকেল তেলও চুলকে পিচ্ছিল করে তোলে। ফলে চুলের ফাঁকে ফাঁকে জায়গা করে নেওয়া উকুনেরা ঝরতে শুরু করে। সেইসঙ্গে উকুনের ডিমও ঝরে যায়। ফলে এমন ধরনের ত্বকের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে পরিমাণমতো নারকেল তেল নিয়ে তা গরম করে ধীরে ধীরে স্কাল্পে লাগাতে হবে। তারপর ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন এমনটি করলে দেখবেন উকুনেরা মরতে শুরু করবে।

নিম তেলে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ নিমেষে উকুনকে মেরে ফেলে। সেইসঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাইতো নানাবিধ ত্বকের রোগের চিকিৎসায় এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিম তেলকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: টুথপেস্টেই ত্বকের যত্ন!

রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে পরিমাণমতো টি-ট্রি অয়েল নিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করতে হবে। তারপর একটি তোয়ালে বালিশের উপর রেখে শুয়ে পরতে হবে। পরদিন ঘুম থেকে উঠে ভালো করে চুলটা আঁচড়ে নিলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

Advertisement

এইচএন/জেআইএম