পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নেতারা ক্ষমতায় যেতে জোট গঠনে তৎপর হয়ে উঠেছে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা জেহাঙ্গির তারিন খান শনিবার মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন- পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) এর সঙ্গে জোট গঠন করার বিষয়ে আলোচনা করতে করাচিতে সফর করছেন।
Advertisement
পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিও নিউজ বলছে, দলটির কেন্দ্রীয় নেতা তারিন খান আনুষ্ঠানিকভাবে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন-পাকিস্তানকে (এমকিউএম-পি) জোটে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ বলছে, জোট সরকার গঠনে ইমরানের দলের নেতারা বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
করাচি সফরের একদিন আগে তারিন খান মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন- পাকিস্তানের আহ্বায়ক ডা. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীকে আসন্ন সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের পক্ষ থেকে সরকারে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে নিশ্চত করেছেন ডা. খালিদ। তিনি বলেন, দলটির রাবিতা কমিটি আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
Advertisement
উল্লেখ্য পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন- পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে।
পিটিআিই কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ২৫ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে। তবে সরকার গঠন করতে হলে সর্বনিম্ন ১৩৭ আসন প্রয়োজন ছিল দলটির। তা না হওয়ায় জোট সরকার গঠনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দলটির নেতারা।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জাতীয় পরিষদের ২৭০টি আসনের মধ্যে ২৬৭টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েছে। ইমরানের দল জয়ী হয়েছে ১১৫টি আসনে। এদিকে দলটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৪টি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়াও ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
বাকি কয়েকটি আসনের মধ্যে ইসলামী দলগুলোর জোট মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আমল ১৩টি, মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন- পাকিস্তান ৬টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/এমএস