মো. আবু মোসলেম উদ্দিন (৪৫) ওরফে ইদ্রিস কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। ইয়াবার ব্যবসার করতে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এখন তিনি ইয়াবা পাচারকারী। তবে ভিআইপি। প্লেনে চড়ে ইয়াবা পাচার করেন। প্রতিমাসে তিনি ৪-৫ বার কক্সবাজার থেকে পেটের ভেতর ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এয়ারপোর্টে নেমে পেট থেকে বের করে ইয়াবা পৌঁছে দেন নির্দিষ্ট জায়গায়।
Advertisement
কিন্তু এবার ভিআইপি এ ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করেছে র্যাব-১১। শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ বলেন, গত রমজান মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আমরা ইদ্রিস মাস্টারের ব্যাপারে তথ্য পাই। তিনি সেখান থেকে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে আসেন। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আকাশপথে যাতায়াত করেন তিনি।
শুক্রবার আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকা আসছেন। পরে র্যাব-১১’র সিনিয়র এএসপি জসিম উদ্দিনের (পিপিএম) নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা এয়ারপোর্টে অবস্থান নেয়। ইদ্রিস এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে যাচ্ছে এমন খবরে র্যাব তাকে নরায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে আটক করে।
Advertisement
প্রাথমিকভাবে তার দেহ তল্লাশি করে ইয়াবার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন তিনি পায়ুপথে ইয়াবা বহন করেন। রাতেই স্থানীয় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে তার পেট থেকে তিনটি ডিম্বাকৃতির ইয়াবার প্যাকেট বের করা হয়। যেখানে ২ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ছিল।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইদ্রিস আরও জানান, তিনি বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। এ পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ বার এ পদ্ধতিতে ইয়াবা বহন করে নিয়ে এসেছেন। প্রতি পিছ ইয়াবার জন্য তাকে ১৩ টাকা করে দেয়া হতো। সেই অনুপাতে এবারের চালানে তার আয় ৩১ হাজার ২০০ টাকা হতো।
আটক মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
হোসেন চিশতী সিপলু/এফএ/এমএস
Advertisement