প্রবাস

নির্বাচন সিলেটে, প্রচারণা যুক্তরাজ্যজুড়ে

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ৩০ জুলাই। এ নির্বাচনকে ঘিরে পছন্দের প্রার্থীর জন্য যুক্তরাজ্যজুড়ে প্রচার-প্রচারণা ও মতবিনিময় করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আবার লন্ডন থেকে তারা সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনের কাছে নিজ নিজ দলীয় এবং পছন্দের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ভোট চেয়ে ফোন করছেন।

Advertisement

বিশেষ করে দ্বিতীয় লন্ডন খ্যাত সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডন। শুধুমাত্র লন্ডন শহর নয়, যুক্তরাজ্যের ছোট বড় প্রত্যেক শহরেই পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে চলছে মিটিং সমাবেশ। অনেক নেতাকর্মী আবার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে উড়ে এসেছেন বাংলাদেশে।

শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতেও আলোচিত বিষয় এখন সিলেটের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

লন্ডনে পিএইচডি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জহিরুল হক শাকিল এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে এসে মন্তব্য করেন নির্বাচন সিলেটে না লন্ডনে বুঝতে পারছি না। পুরো বিয়ের সেন্টারজুড়ে শুধু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েই আলোচনা।

Advertisement

সিলেট থেকে সম্প্রতি লন্ডনে আসায় সবাই জানতে আগ্রহী সিলেটে কে বিজয়ী হবেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী না আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

গড়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংগঠন নিজেদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সভা সমাবেশ করছেন। পূর্ব লন্ডনের জনপ্রিয় বাংলাদেশি প্রিন্টার্স, ফেইথ প্রিন্টার্সের পরিচালক মোসলেহ উদ্দীন আহামেদ জানান, প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ, বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নামে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ব্যানার পোস্টার তৈরি করছেন। শুধুমাত্র মেয়র প্রার্থী নয়, কাউন্সিলরদের সমর্থনেও সভা সমাবেশের ব্যানার, টি-শার্ট, স্টিকার তৈরি করাচ্ছেন।

সমর্থনে সভা ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করেও বিভিন্ন সংগঠন তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। লন্ডনের রাজপথে বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করার ঘটনা ও ঘটেছে।

তবে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহামেদ কামরানের সমর্থকরাই এগিয়ে আছেন। তুলনামূলকভাবে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা কম।

Advertisement

ছা‌মির মাহমুদ

এমআরএম