থেমে নেই নির্মাণসামগ্রী ইট তৈরিতে কারচুপি। নির্দিষ্ট পরিমাপের চেয়ে ছোট আকারের ইট তৈরি করে নিয়মিত ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুটি ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এর আগেও বহুবার এমন অভিযোগে বহু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু দিনদিন ছোট-ই হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি করা ইট।
Advertisement
বৃহস্পতিবার জরিমানা করা প্রতিষ্ঠান দুটির একটি হলো কোয়ালিটি ব্রিকস, অপরটি এমএএইচ ব্রিকস। এদিন সাভারের ধামরাই আমিনবাজার এলাকায় অবস্থিত এ দুই ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।
অভিযান তদারকি করেন অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ তওহিদুর রহমান। পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। আর এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন এপিবিএন-১ এর সদস্যরা।
জাগো নিউজকে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ইট তৈরির জন্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সঠিক পরিমাপ নির্ধারণ করেছে। সংস্থাটির পরিমাপ অনুযায়ী, প্রতিটি ইটের দৈর্ঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার হতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো ইট তৈরিতে সঠিক পরিমাপ দিচ্ছে না।
Advertisement
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে পরিমাপে কমসহ ইট তৈরিতে নানা কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ২২ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের ইট তৈরি করছে। অথচ হওয়া দরকার ছিল ২৪ সেন্টিমিটার, যা আইন পরিপন্থী। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণের মাপের চেয়ে ছোট আকারের ইট তৈরি করে ভোক্তাদের ঠকানোর অভিযোগে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৪৮ ধারায় ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ৬ জুলাই এই ধামরাই উপজেলার কালামপুরে হোপ ব্রিকস, এআরএম ব্রিকস, এমএআরকে ব্রিকস ও এমকেপিবি ব্রিকস নামে চারটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। তখন এসব ইটভাটায় ইটের মাপ পাওয়া যায় ২৩ সেন্টিমিটার। এ জন্য এই চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল অধিদফতর।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জাজিরায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তখন পরিমাপে কারচুপির অভিযোগে পাঁচটি ইটভাটাকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদফতর।
সেসময় অধিদফতর জানিয়েছিল, বর্তমানে যে সাইজের ইট তৈরি হচ্ছে তা সঠিক পরিমাপের চেয়ে ২২ শতাংশ কম। অর্থাৎ এক লাখ ইটের হিসাব করলে ২২ হাজার ইট কম পাচ্ছেন ক্রেতারা।
Advertisement
এসআই/জেডএ/পিআর