খেলাধুলা

বিতর্কিত আইনেই হারল বাংলাদেশ!

দারুণ সুযোগ ছিল এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, হেসেখেলেই জিতে যাবে টাইগাররা। সেই ম্যাচটিই শেষপর্যন্ত হেরে গেল মাশরাফির দল। মাত্র ৩ রানে। হারের ব্যবধানটা এত কম বলেই ম্যাচ শেষে অনেক হিসেব নিকেশ চলে আসছে, যে সব হিসেব নিকেশ করতে হয়নি গত ম্যাচে সাব্বির রহমান বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ে সাজঘরে ফিরলেও।

Advertisement

গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল নিজের দোষেই হেরেছে, তাতে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। শেষ ৭ বলে টাইগারদের দরকার ছিল ৮ রান। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে ফুলটস ডেলিভারিতে আউট সাব্বির রহমান, পরের ওভারের প্রথম বলে সেই একই ফাঁদে পা দিলেন সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও। বাংলাদেশের নিশ্চিত জয়ের পথে থাকা ম্যাচটি তাতেই ঘুরে যায় অবিশ্বাস্যভাবে। শেষ ৫ বলে মোসাদ্দেক হোসেন আর মাশরাফি বিন মর্তুজা মিলে নিতে পারেন মোটে ৪ রান।

হারটা মাত্র ৩ রানের বলেই একটা আক্ষেপ রয়েই গেছে। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪২.৩ ওভারের ঘটনা। দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন মুশফিক। বোঝা যায়নি, বল ব্যাটে লেগেছে কিনা। বিশুর এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ততক্ষণে বল পেরিয়ে গেছে বাউন্ডারি লাইন। মুশফিক হয়তো জানতেন, বলটা তার ব্যাটে লেগেছে। রিভিউ নিয়ে নেন তিনি। ‘আলট্রা এজ’ প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বলটা তার ব্যাটে লেগেই বল সীমানাছাড়া হয়েছিল। তার মানে একটি বাউন্ডারি পেয়েছেন মুশফিক।

কিন্তু স্কোরবোর্ডে দেখা গেল, মুশফিকের ওই চার রান যোগ হয়নি। না, মুশফিকের নামের পাশে; না, বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে। কারণ কি?

Advertisement

আসলে আইসিসির আইন অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি 'ডেড' হয়ে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী মুশফিক রান পাননি। কিন্তু ওই আইনটা তৈরি হয়েছে, রিভিউ পদ্ধতি আসার আগে। রিভিউয়ে যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়, তবে তো ব্যাটসম্যানের রানটি পাওয়ার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি।

আইনের মারপ্যাঁচে পরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাউন্ডারি না পাওয়া, বাংলাদেশ শিবিরে একটু আক্ষেপ তৈরি করতেই পারে। কারণ হারটা যে মাত্র ৩ রানের! বাউন্ডারিটা পেলে জয়টাই নিশ্চিত হয়ে যেত টাইগারদের, সেই সঙ্গে বগলদাবা করে নিতে পারতো সিরিজও।

এমএমআর/পিআর

Advertisement