জাতীয়

শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার

শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে শুক্রবার রাতে। মহাজাগতিক দুর্লভ এই দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

Advertisement

চন্দ্রগ্রহণে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময় হবে এক ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। ১০৪ বছর পর এত দীর্ঘ সময় ধরে চন্দ্রগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

পৃথিবী যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পড়ে, তখন পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করে। এ সময় পৃথিবীর মানুষের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় চাঁদ প্রবেশ করবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে ভারত মহাসাগরের মৌরিতাস দ্বীপের পোর্ট লুইসের উত্তর-পশ্চিম দিকে। সেখানে গ্রহণে মাত্রা হবে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬১৪। উপচ্ছায়া থেকে চাঁদ বেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।

Advertisement

আব্দুর রহমান বলেন, আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি পুরোপুরি দেখা যাবে। খালি চোখেই দেখা যাবে চন্দ্র গ্রহণের দৃশ্য। এতে চোখের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

তিনি আরও বলেন, ১০৪ বছর পর এই লং টাইম গ্রহণ হচ্ছে। এত দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে হয়তো আবার শত বছর অপেক্ষা করতে হবে।

আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবে। চন্দ্রগ্রহণের শুরুর মুহূর্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং শেষ মুহূর্ত পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি তীব্র লাল অথবা লালচে ধূসর রং ধারণ করবে।

বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সূর্যের সাদা আলো যখনই পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের মধ্যে এসে পড়বে তখন পৃথিবীর নীল রঙের সঙ্গে মিশবে সূর্যের সাদা আলো। আলোক বিচ্ছুরণ হবে। সৃষ্টি হবে লাল আলোর। এই রঙেই রাঙা হবে চাঁদ।

Advertisement

আরএমএম/এএইচ/পিআর