রাজধানী গুলশানের হলি আর্টসানে জঙ্গি হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) সাইফুজ্জামান হিরো এই আদেশ দেন।
Advertisement
গুলশান থানার আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। মামলাটি এখন সিএমএম আদালত থেকে ঢাসন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সেখানেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলবে।
এর আগে ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। এর মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও দুই জন পলাতক রয়েছেন।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।
Advertisement
পলাতক দুই আসামি হলেন- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দানারে সুপারিশ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিসানেই নিহত হয়েছেন।
গুলশানে হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
জেএ/এমবিআর/এসএইচএস/আরআইপি