ঘটনার ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীতে ডুবে যাওয়া যুবক মো. ইকবালকে (২২) উদ্ধারে ডুবুরি পাঠাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিসের এমন গাফিলতিতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। যদিও রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সর্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা অজুহাত দিচ্ছেন ডুবুরি সঙ্কটের। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মোগলের হাট রাবার ড্যামে ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ইকবাল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পেয়ার মোহাম্মদ পাড়া এলাকার বাদশা আলমের ছেলে। তিনি স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন ইসলামী ছাত্রসেনার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় সূত্র জানায়, পারুয়া ইউনিয়নের হাজারী বিলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলে বাড়ি ফেরার পথে মোগলের হাট রাবার ড্যাম এলাকায় নদী পার হচ্ছিল ইকবালসহ সাত যুবক। সাত জনের মধ্যে ছয়জন সাঁতার কেটে নদীর অপর পারে উঠলেও তলিয়ে যান ইকবাল।
এই ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ইকবালকে উদ্ধারে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কিন্তু নিখোঁজের পর ২৩ ঘণ্টা (বুধবার বিকেল ছয়টা) পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের দুষছেন স্থানীয়রা। রাঙ্গুনিয়া পারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও রাঙ্গামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আহমেদ রেজা আরিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে এখনো উদ্ধার অভিযানে সরকারি কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। না এলো ফায়ার সার্ভিস, না এলো ডুবুরি দল। অথচ নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ আজ দু’দিনে এক করে দিয়েছে ইছামতির একূল-ওকূল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ দুলাল কুমার মিত্র ডুবুরি সঙ্কটের কথা জানিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি নেই। ডুবুরি পেতে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলেও অন্যত্র উদ্ধার কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে দেরি হচ্ছে।’
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এমআরএম/এমএস