ভোর বেলা সূর্য ওঠার আগেই ফজর নামাজ আদায় করতে হয়। অন্যান্য নামাজের তুলনায় ফজরের নামাজ আদায়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ যে সময়টিতে মানুষ ঘুমের ঘোরে ব্যস্ত। সে সময়টিতে আরামের ঘুম ভেঙে সকাল সকাল ওঠে নামাজ আদায় করা সবার জন্য সহজ নয়।
Advertisement
তাই ফজরের নামাজ পড়তে ওঠা এবং জামাআতে সঙ্গে তা আদায় করায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সাওয়াব ও মর্যাদা ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
- হজরত জুনদুব ইবনে সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হেফাজতে চলে গেল। অতএব তোমরা আল্লাহ তাআলা হেফাজতকে চূর্ণ কর না; তুচ্ছ মনে কর না।’ (তিরমিজি, মুসলিম, তারগিব)
- হজরত বুরাইদা আল-আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যারা অন্ধকার উপেক্ষা করে মসজিদে যায় তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নুরের সুখবর দাও।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)
Advertisement
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা জামাআতের সঙ্গে ফজর আদায়কারীকে নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। দুনিয়ার সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে সে।
আরও পড়ুন > যখন নামাজ না পড়লে দোষ নেই
শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করবে তার জন্য রয়েছে বড় সুসংবাদ। সে পাবে সারা রাত ইবাদতের সাওয়াব। তবে শর্ত হলো ওই ব্যক্তিকে ইশার নামাজও জামাআতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করে, তার জন্য অর্ধরাত (নফল) নামাজ আদায়ের সাওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি ইশা ও ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করবে, তার জন্য সারা রাত (নফল) নামাজ আদায়ের সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে।’ (তিরমিজি, মুসলিম, আবু দাউদ)
Advertisement
সুতরাং সবার উচিত যথাসময়ে ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। কোনোভাবেই যেন অলসতা ও অবহেলায় ফজর নামাজ কাজা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। কেননা ফজর নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তাআলা তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা নিয়মে জামাআতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত, মর্যাদা ও উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস