এমনিতেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ার কারণে আর্জেন্টিনা ফুটবলে এখনও চলছে কাটাছেঁড়া। কেন মেসিদের এমন বিপর্যয়, কেন এভাবে বিদায় নিতে হলো? এরই মধ্যে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির বিদায় এবং নতুন কোচ আলেজান্দ্রো সাবেলাকে নিয়ে চলছে জ্বল্পনা-কল্পনা। এরইমধ্যে বিষাদের সংবাদ নিয়ে এলো এক আর্জেন্টাইন ফুটবলারের হত্যার খবর।
Advertisement
সতীর্থ আরেক ফুটবলারের হাতেই প্রাণ হারাতে হলো আর্জেন্টিনার উঠতি বয়সী গোলরক্ষক ফাকুন্দো এসপিনদোলাকে। সতীর্থকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো এস্পিনদোলার সতীর্থ আরেক ফুটবলারকে।
ঘটনা রোববার ভোর রাতে বুয়েন্স আয়ার্সের হার্লিংহাম এলাকার। ভোর রাতে স্থানীয় একটি পানশালার সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আলমাগ্রোর গোলরক্ষক এসপিনদোলা। যিনি একটা সময় রিভারপ্লেট যুব দলেও খেলেছেন। আর্জেন্টিনার ‘বি’ দলেও ছিলেন তিনি।
ঝামেলার মধ্যে এক ব্যক্তি পকেট থেকে ছুরি বের করে এসপিনদোলার গলা কেটে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যে ঘটনার পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। যার মধ্যে একজন স্যান তেলমোর ফুটবলার নাহুয়েল ওভিয়েদো।
Advertisement
রোববার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ যখন পানশালা থেকে বেরিয়ে আসছেন এসপিনদোলা, তখনই ওভিয়েদোদের সঙ্গে মারামারি বেধে যায়। এরপরই ঘটে ওই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ ওভিয়েদোকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে গ্রেফতার করে। দু’জনে তখন একটি সাদা গাড়িতে ছিলেন। শোনা গেছে, গাড়িতে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছে পুলিশ। পরে কিছু দূরে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজও পেয়েছে পুলিশ।
কেন দু’দলে ঝামেলা বেধেছিল, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্ত ওভিয়েদো এর আগেও নানা ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। ২৮ বছর বয়সি এই তরুণ ২০১১ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারও হন। তিন বছরের জেলখানায় দেওয়া হলেও ওই সময় জেলে যেতে হয়নি ওভিয়েদোকে। কিন্তু এবার যে অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে, তা প্রমাণিত হলে শাস্তি এড়ানো সম্ভব হবে না এই ফুটবলারের পক্ষে।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement