খেলাধুলা

সিনিয়রদের ঔজ্জ্বল্যের সামনে পুরোপুরি ম্লান তরুণরা

‘ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি কারা?’ পরিসংখ্যান না জানা গলির, অজো-পাড়া গাঁয়ের আনকোরা কিশোর-তরুণও বলে দিতে পারবে, কেন পাঁচ সিনিয়র? মানে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রান যা করার তারাই করেন। বেশি উইকেটও ঘুরে ফিরে তারাই নেন।

Advertisement

আসলে বাংলাদেশ দলে সিনিয়রদের পারফরমেন্সের দ্যুতি এত উজ্জ্বল যে, তা খালি চোখেই ধরা পড়ে। পরিসংখ্যান ঘাঁটতে হয় না। পাশাপাশি তরুণদের পারফরমেন্স যে খারাপ, তারা যে দলের সাফল্যে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছেন না সেটাও সবার জানা।

জানেন কি, আসলে সিনিয়রদের তুলনায় তরুণদের পারফরমেন্স কতটা খারাপ? জানলে বিস্মিত হবেন! আসুন এ সময়ে সিনিয়র ও জুনিয়রদের পারফরমেন্সটা এক নজরে দেখে নেই। তাহলেই বোঝা যাবে বড়দের নৈপুণ্যের উজ্জ্বলতা কত? আর তরুণরা কেমন নিষ্প্রভ। অনুজ্জ্বল।

আগে দেখে নেয়া যাক পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান। মাশরাফিকে দিয়েই শুরু করা যাক। টাইগার অধিনায়কের নেতৃত্বগুণের কথা সবার জানা। ওয়ানডে দলের বড় সম্পদ মাশরাফির গতিশীল, সাহসী, বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব। পুরো দলকে এক সুতোয় গেঁথে ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করার কাজটি খুব ভাল পারেন। জানেন। তাই দেশে ও বিদেশে সবার চোখে মাশরাফি আদর্শ অধিনায়ক।

Advertisement

এবার দেখে নেই পারফরমার মানে বোলার মাশরাফির পরিসংখ্যান। ক্যারিয়ারের স্বর্ণ সময় পিছনে ফেলে এসেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েক বছর ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করা মাশরাফি সাত-আট বারের অপারেশনের ধকল সামলে এখন জেন্টল মিডিয়াম হয়ে গেছেন। মধ্য তিরিশে গিয়ে এখন অনেক গতি কমিয়ে লাইন-লেন্থ আর বুদ্ধি খাটিয়ে বল করেন। তারপরও শেষ ২০ ওয়ানডেতে বল হাতে তিনি দখল করেছেন ২৩ উইকেট।

পরিসংখ্যানে ২০ ম্যাচ থাকলেও বাস্তবে ১৩ ম্যাচে ২৩ উইকেট পেয়েছেন। কারণ, সাত ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। চার উইকেট শিকার করেছেন একবার। তিন উইকেট পেয়েছেন একবার। আর পাঁচবার দুই উইকেট জমা পড়েছে নড়াইল এক্সপ্রেসের পকেটে।

ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে না পারলেও গত ১৪ ইনিংসে দুটি বড় স্কোর আছে মাশরাফির। প্রথমটি ৪৪ (২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর শেরে বাংলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ বলে)। আর দ্বিতীয়টি গত বছর ১৫ জুন বার্মিংহামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২৫ বলে অপরাজিত ৩০ রান। অবশ্য ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত ব্যাট কথা বলেনি অধিনায়কের। চার ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া মাশরাফির সংগ্রহ মাত্র (৬+০+১+৫) = ১২ রান।

পঞ্চ পান্ডবের অন্যতম সদস্য, দলের এক নম্বর ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল শেষ চার বছর ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন। শুরুতে খানিক বল্গাহীন ব্যাট করা তামিম এখন অনেক পরিণত। অনেক ধীরস্থির। তেড়েফুঁড়ে বাহারি শটস খেলার চেয়ে দায়িত্ববোধটাই এখন তার প্রথম লক্ষ্য। এভাবে খেলা শুরু করেছেন সেই ২০১৫ সাল থেকে। ওই বছরের ১১ নভেম্বর থেকে শেষ ২৮ ওয়ানডেতে তামিমের ব্যাটে রানের নহর বইছে। চার সেঞ্চুরি আর ১০ হাফ সেঞ্চুরিসহ ১৫০৮ রান করেছেন তামিম। চারটি শতরান ছাড়া গত বছর ৫ জুন ওভালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপেক্ষ একা লড়ে (১১৪ বলে ৯৫ রান) প্রায় শতরান করে ফেলেছিলেন। এছাড়া আরও ছয়টি (৮০, ৮৪, ৮৪ এবং ৭৩, ৭০ ও ৭৬) বিগ ফিফটিও আছে এ বাঁ-হাতি ওপেনারের।

Advertisement

আসুন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পারফরমেন্স দেখি পাখির চোখে। এ বাঁ-হাতি স্পিনার ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ২১ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেছেন। এ সময়ে পাঁচ ও চার উইকেট পাননি একবারও। তবে ৩ উইকেট আছে ৪ বার। সেরা বোলিং ৩/৩৪। ব্যাট হাতে ২০১৭ সালের ৯ জুন কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (১১৫ বলে ১১৪) সেঞ্চুরিসহ আরও সাতবার পঞ্চাশের ঘরে পা রেখে শেষ ২১ ম্যাচে সাকিবের রান ৭৬৯।

‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকও কম যাননি। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন প্রায় নিয়মিত। ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬২ বলে ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংসসহ শেষ ২১ ইনিংসে মুশফিকের রান ৭৩৯। এ সময় তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি। একটি শতরানও (২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর, কিম্বার্লিতে ১১৬ বলে ১১০) আছে।

পঞ্চ পান্ডবের পাঁচ নম্বর সদস্য মাহমুদউল্লাহর রিয়াদের সময়টা তেমন ভাল যাচ্ছে না। ক্যারিয়ারের সূর্য্য এখন আর সেভাবে আলো ছড়াচ্ছে না। তারপরও ২০১৭ সালের ৯ জুন কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১০৭ বলে ১০২* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাকিবের সাথে দলের ঐতিহাসিক জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার শেরে বাংলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ বলে ৭৫ রান থেকে শেষ ২২ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৫৮। তবে এই অভিজ্ঞ পারফরমার শেষ ২২ ইনিংসের ১১ বার দু’অংকে পৌছাতে পারেননি।

এবার দেখা যাক তরুণদের পারফরমেন্স। প্রথমেই আসে এনামুল হক বিজয়ের নাম। শুরু দেখে মনে হচ্ছিলো রেসের তেজি ঘোড়া। প্রথম ১৮ ইনিংসে তিন তিনবার তিন অংকে পা রাখা বিজয়কেই ভাবা হচ্ছিল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তামিমের যোগ্য সঙ্গী। কিন্তু হায়! সেই এনামুল বিজয় যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। সময় যত গড়াচ্ছে ততই কেমন যেন চুপসে যাচ্ছেন তিনি।

খারাপ ফর্মের কারণে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর প্রায় তিন বছর দলের বাইরে ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আইসিসি বিশ্বকাপে ৪৩ বলে ২৯ রান করার ৩৫ মাস পর আবার সুযোগ পান এ বছর, মানে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। ঘরের মাঠে ওই তিন জাতি ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেননি। চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে (১৯+৩৫+১+০) ৫৫ রান এবং সবশেষ তিন ইনিংসের অবস্থা খুবই খারাপ; ১, ০ এবং ০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও আউট হয়ে গেছেন ০ রানে।

এরপর আসা যাক সাব্বির রহমান রুম্মন প্রসঙ্গে। সবার ধারনা ছিল, রাজশাহীর এ ড্যাশিং উইলোবাজ হবেন মিডল অর্ডারের বড় স্তম্ভ। উইকেটে গিয়ে সেট হতে সময় লাগে কম। উইকেটের সামনে ও দুদিকে প্রায় সব শট খেলতে পারেন। অনায়সে অবলীলায় বিগ হিট নিতে পারেন। চার বছর অগে ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে তেমন সাব্বিরের দেখাই মিলেছিল। ২৫ বলে সমান তিনটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা হাকিয়ে ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে সাব্বির জানান দিয়েছিলেন ঝড়ো উইলোবাজিটা আমি ভালই পারি।

কিন্তু তিনিও নিজেকে কোথায় যেন হারিয়ে খুঁজছেন। তার ব্যাটের তেজ কমেছে বিস্ময়করভাবে। ২০১৭ সালের ২৪ মে ডাবলিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৫ রানের ইনিংসটিই শেষ। এরপর আর পঞ্চাশের ঘরে পা রাখা সম্ভব হয়নি। এ বছর মানে ২০১৮ সালে সাব্বিরের অবস্থা আরও খারাপ। শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে একদমই অনুজ্জ্বল (২৪+৬+১০+২+৩ = ৪৫ রান)।

সেই ২০১৫ সালের ১৮ জুন শেরে বাংলায় ভারতের সাথে ৮ রান দিয়ে শুরু লিটন দাসের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। ক্রিকেট ব্যাকরণের প্রায় সব শটই আছে তার হাতে। ঘরের ক্রিকেটে গত কয়েক বছর বিশেষ করে ঢাকার প্রিমিয়ার লিগে রানের নহর বইয়ে দিয়েছেন। কয়েক গন্ডা শতকও আছে ঢাকা লিগে; কিন্তু সেই ফ্রি স্ট্রোক মেকার এখনো ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২ ম্যাচে একবারের জন্যও পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ভাবা যায়! তার সর্বোচ্চ রান মাত্র ৩৬।

শেষবার ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে। সেটাও মোটেই সুবিধার হয়নি। তিন ম্যাচে (১+১৪+৬) করেছেন মোটে ২১।

আরেক তরুণতুর্কী ভাবা হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। ময়মনসিংহের এ তরুণকে সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছিলেন শুরুতে। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে, চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কাসহ বল সমান ৪৫ রানের দ্যুতিময় ইনিংস; কিন্তু ১৯ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারটি কাঙ্খিত মানে পৌঁছেনি। তিনবার ব্যাটিংয়ে নামেননি। একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। যে ১৫ ইনিংস ব্যাট করেছেন, তাতে একটি মাত্র পঞ্চাশ ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (৪৪ বলে, তিন ছক্কা ও পাঁচ বাউন্ডারিতে ৫০)। সেই ব্যাটসম্যান পরের ১৪ খেলায় কোথায় হারিয়ে গেছেন! পরের ৯ ইনিংসে (৩+২৪+১১+৯+৪১+১০+২+৭+১৫) করেছেন মোটে ১২২ রান।

দেখলেন তো বাংলাদেশ তরুণ উইলোবাজদের কি করুন অবস্থা! যেখানে মধ্য তিরিশে গিয়ে মাশরাফি এখনো সেরা বোলারদের অন্যতম। গতি কমিয়ে ১২০-১২৫ কিলোমিটারের আশ পাশে বল করেও এক নম্বর পেসার। সেখানে তাসকিন, শফিউল, আবু জায়েদ রাহী ও আবু হায়দার রনিরা অনেক পিছনে।

তামিম-মুশফিক পাল্লা দিয়ে রান করছেন। সাকিব বল ও ব্যাট হাতে সমান উজ্জ্বল। মাহমুদউল্লাহর ধারাবাহিকতা কমলেও সময়মত জ্বলে ওঠার কাজটি ঠিকই করে যাচ্ছেন। তাকে তাই ‘বিগ ম্যাচ’ প্লেয়ার বলেই ডাকেন অনেকে। শেষ ২০ থেকে ২৫ ম্যাচে তামিম, মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে সাতটি সেঞ্চুরি সহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান। সেখানে এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, সাব্বির-মোসাদ্দেক সৈকতরা ভুগছেন রান খরায়।

এই তরুণরা সাকুল্যে তার তিন ভাগের এক ভাগ রানও করতে পারেননি। সাত সাতটি সেঞ্চুরি বহুদুরে, একটি শতকও নেই কারো। আর তাই গত চার বছরে তামিম যখন ছয়বারের ম্যাচ সেরা, সাকিব-মুশফিক চার বার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও একবার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন, সেখানে এনামুলক হক বিজয়, লিটন দাস, সাব্বির রহমান আর মোসাদ্দেকরা শুধুই দর্শকের ভূমিকায়। কেউ একবারের জন্যও ম্যাচ সেরা হতে পারেননি। তারা একেবারেই অনুজ্জ্বল। ব্যাট হাতে তাদের অবদান অতি নগণ্য।

মোটকথা, সিনিয়রদের ঔজ্জ্বল্যে যারপরনাই ম্লান, অনুজ্জ্বল তরুণরা। বড়দের সাথে তরুণদের পারফরমেন্সের অনুপাত এখন ৪:১। কিংবা তারচেয়েও বেশি। একটা দলের পাঁচ-ছয়জন পরিণত, প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ পারফরমারদের সাথে যদি তরুণদের পারফরমেন্সের অনুপাত এমন হয়, তাহলে কি করে চলবে? এতে করে দলের পারফরমেন্সে স্থিরতা যাবে কমে।

সিনিয়র ও পরিণত পারফরমারদের বয়স থেমে নেই। মাশরাফি মধ্য তিরিশে। এইতো আগামী অক্টোবরে ৩৫-এ পা রাখবেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও তিরিশ পার হয়ে ৩২ চলছে। সাকিব আর মুশফিক দুজনারই ৩১ চলছে। তামিমও তিরিশ ছুঁই ছুঁই করছেন। যত পরিশ্রমই করুন না কেন, তাদের ভাল খেলার সময় ফুরিয়ে আসছে। স্বাভাবিক নিয়মে তারা গড়পড়তা খুব বেশি হলে আর পাঁচ বছর ভাল খেলে দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারবেন।

তারপর? সবার বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাবে। জীবনের কঠিন ও নির্মম বাস্তবতায় তখন তাদের ব্যাট ও বলের ঔজ্জ্বল্য যাবে কমে। বিশ্বের তাবৎ পারফরমারদেরই তা কমেছে। বয়সের কাছে একদিন সবাইকে হার মানতে হয়। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহরও হবে। তার আগে যদি সৌম্য, বিজয়, সাব্বির , লিটন ও মোসাদ্দেক সৈকতরা জ্বলে উঠতে না পারেন, তাহলে সামনে যে ঘোর অন্ধকার!

কে জানে এ হতাশার অন্ধকার কাটাবেন কে? কাটবে কবে?

এআরবি/আইএইচএস/পিআর