মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নারী আইনজীবী সাজেদা-ই-বুলবুলকে (২৯) নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় স্বামী শাহজাদা সাজুকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে সে দেশের (সি আইডি) পুলিশ। টানা ২৫ দিনের মাথায় দেশটির সীমান্তবর্তী প্রদেশ জহুর বারু থেকে বুধবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ২০ জুলাই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শাহজাদা সাজুর ছবি প্রকাশ করে পুলিশ।
Advertisement
গত ৫ জুলাই নৃশংশভাবে খুন হন সাজেদা। এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির এএসপি ফাইজাল বিন আব্দুল্লাহ। পাশাপাশি সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরও সহযোগিতা চান তিনি। এরই প্রেক্ষিতে খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন এ আর মোহাম্মদ মামুন নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। সাজুকে গ্রেফতার করতে তিনি পুলিশকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা।
সাজেদা-ই-বুলবুল পটুয়াখালী সদরের পুরাতন আদালতপাড়ায় মো. আনিস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি এবং এল এম পাশ করেন। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে মালেয়েশিয়া যান তিনি।
সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর অন্য চেহারা দেখতে পান। শাহজাদা নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি করে দেননি। নিয়মিত করতেন নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুলাই সাজেদাকে নৃশংশ কায়দায় হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী শাহজাদা। অপরাধ গোপন করতে স্ত্রীর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে লাগেজে ভরে সুংগাই কালাং (জালান ইপুহ) এলাকায় এক ডোবায় ফেলে গা ঢাকা দেন।
Advertisement
দুই লাগেজে ভর্তি সাজেদার আট টুকরা মৃতদেহ প্রথমে দেখতে পান একজন ভবঘুরে ব্যক্তি। তিনি পুলিশে খবর দিলে এই নৃশংস ঘটনাটি সামনে আসে।
এমএমজেড/পিআর