আইন-আদালত

‘ট্রাস্টের টাকা-পয়সা লেনদেনে খালেদার সংশ্লিষ্টতা নেই’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানিতে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেছেন, এই ট্রাস্টের টাকা-পয়সা লেনদেনে খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা নেই। এই ট্রাস্টের যত লেনদেন হয়েছে কোথাও তার স্বাক্ষর নেই। অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কোনো নথিতে তার স্বাক্ষর নেই, নাম নেই, স্বাক্ষর নেই এমনকি অনুমোদনও নেই।

Advertisement

মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে অষ্টম দিনের শুনানিতে একথা বলেন রেজাক খান। আজ বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুধবার বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়। শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। আদালতে শরফুদ্দিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানউল্লাহ।

আবদুর রেজাক খান বলেন, এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো এভিডেন্স নেই, কিছু নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য দিয়ে তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা এফডিআর করা হয়েছে। আবার ট্রাস্টে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোনো আত্মসাৎ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এই মামলার ২০ নম্বর সাক্ষী প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একজন ডিরেক্টার তৌহিদুর রহমান বলেছেন- প্রধানমন্ত্রীর (তৎকালীন খালেদার) দফতরে এতিম তহবিল সংক্রান্ত কোনো নথি নেই।

Advertisement

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ বিচার শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন (১৬৭৬/২০১৮) করেন খালেদার আইনজীবীরা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে, নিম্ন আদালতের দেয়া জরিমানার রায় স্থগিত করেন।

পরবর্তীতে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনে গত ১৬ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

অন্যদিকে এ মামলার আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদের করা আপিলের ওপরেও একই সঙ্গে শুনানির আদেশ দেন আদালত। নিম্ন আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কাজী সলিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement