আন্তর্জাতিক

নির্বাচনী ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেনা মোতায়েন পাকিস্তানে

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা মোতায়েন করছে দেশটি। বুধবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হবে। সন্ত্রাসী হামলায় জর্জরিত নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সেনা মোতায়েনের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।

Advertisement

দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলছে, বুধবারের (২৫ জুলাই) নির্বাচনে ৮৫ হাজার কেন্দ্রে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৮ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে। দেশটির নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা এটি। রাজধানী ইসলামাবাদে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনের সামগ্রী বিতরণ করার সময় স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন : দশম শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ে শিক্ষিকার পলায়ন

Advertisement

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটদানের জন্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রাখতে স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে সেনাবাহিনী। মূলধারার রাজনৈতিক দলের প্রধান ও কিছুু কিছু প্রার্থী মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যা পাকিস্তানের নির্বাচনী সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে প্রার্থী এবং নির্বাচনী প্রচারণায় একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ১৩ জুলাই বেলুচিস্তান প্রদেশে এক নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে।

আরও পড়ুন : নিলামে দাউদ ইব্রাহিমের আরও এক সম্পত্তি

সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার পর নির্বাচনে সশস্ত্র এই বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনও (ইসিপি) নির্বাচনী কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে সেনা মোতায়েনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে রয়েছে।

Advertisement

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সৈন্যরা নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী শুধু সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার কাজে সহায়তা করবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যাবতীয় প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্ধেকেরও বেশি সময় সেনা শাসনের অধীনে ছিল পাকিস্তান।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসআইএস/আরআইপি