মাঠ পর্যায়ে অর্থ ব্যয় করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ। সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে বরাদ্দকৃত অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অর্থের কোনো সমস্যা নেই। জুলাই থেকে অর্থছাড় করতে পারবে প্রকল্প পরিচালক। তাই উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল করার তাগিদ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে এ তাগাদা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কর আদায় করা, তারপর টাকা খরচ করা। আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় টাকা খরচে। কারণ আমরা এটা পারি না। টাকা খরচ করার জন্য এবার আমরা ১ জুলাই থেকেই প্রত্যেকটি প্রকল্প পরিচালক তিন কিস্তির টাকা ছাড় করতে পারবে। এর ফলে বছরের শুরুতে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বছর শেষে এর ভালো একটা ফল পাওয়া যাবে।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাজেট বস্তবায়ন করতে পরি। ৯৩ শতাংশ উঠেছিলাম এখন আবার নিচে নেমে গেছি। আবারও ৯৩ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। উন্নয়ন কাজের জন্য সম্পদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক সাহায্য শতাংশ হারে কমে যাচ্ছে এটা সত্যি। তবে এটার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আগে যেখানে দুই হাজার মিলিয়ন ডলার প্রতিবছর প্রতিশ্রুতি পেতাম। এখন সেখানে ৫-৬ হাজার মিলিয়ন ডলার পাওয়া যায়। এটা ব্যবহার করার উপর নির্ভর করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা বলেছেন— ট্রেজারি ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জায়গা অপ্রতুল। প্রতিটি জেলায় ট্রেজারি ভবন পুরোনো ও একতলা। জেলা প্রশাসকদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলোর সংস্কার করছি। তবে সময়ে লাগবে। এতগুলো বিল্ডিং সংস্কারতো আর এক সঙ্গে করা যায় না। আমরা প্রত্যেক বছরই করছি। এটার সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।
সম্মেলনে নির্বাচন বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এবার নির্বাচনের উত্তাপটা নরমাল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
এমইউএইচ/জেএইচ/এএইচ/এমএস