টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে শ্রাবণের বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এ বৃষ্টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারীতে পরিণত হতে পারে। একই সঙ্গে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
Advertisement
আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানান, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘের দখলে রয়েছে। মাঝে মধ্যে রোদের দেখা মিললেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতের বৃষ্টিতে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সেখানে নতুন করে বৃষ্টিতে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার জন্য দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। রাজধানীর মিরপুর, রোকেয়া সরণি, যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, শেওড়াপাড়া, কালশী, রামপুরা এলাকায় সড়কে পানি জমে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
Advertisement
এদিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী তিন থেকে চারদিন বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পশ্চিম ঝাড়খণ্ড এবং কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম মধ্য প্রদেশ এবং কাছাকাছি উত্তর প্রদেশে অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকলেও সোমবার থেকে সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে ১১০ মিলিমিটার।
আরএমএম/আরএস/জেআইএম
Advertisement