যুক্তরাজ্যে ইসলামভীতি বেড়েই চলেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ব্রিটেনে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই ইসলামবিরোধী হামলা চরম পর্যায় ধারণ করেছে। পাশাপাশি সৌদি আরবে ওয়াহাবি মতবাদের কারণে ঘৃণা এবং সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। সেটাও ইসলামভীতির অন্যতম একটি কারণ।
Advertisement
পলিটিকস ফার্স্ট ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক মারকাস পাপাদোপুলাস বলেন, ব্রিটেন এবং পশ্চিমা দেশে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পাপাদোপুলাস বলেন, ব্রিটেনের লোকজন ইসলামের বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধান্বিত। কারণ তারা সঠিকভাবে ইসলামের বিষয়গুলো জানে না।
তাদের ধারণা তারা যা দেখতে পাচ্ছে তার সব কিছুই এসেছে সৌদি আরব থেকে। তারা মনে করে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারকারী জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইসলাম সম্পর্কে যা কিছু বলে তাই সত্যি। কিন্তু আসলেই সেটা নয়।
Advertisement
সৌদি আরব ঘরে এবং বাইরে যা দেখায় সেটাই ইসলাম নয়, বরং তা বিপথগামী পথ। তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে একটি শান্তির ধর্ম। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় জঙ্গিরা যা করছে বা যা উপস্থাপন করছে সেটা ইসলাম নয়। তারা ওয়াহাবি মতবাদ বিশ্বাস করে এবং সেটাই অনুসরণ করে।
ইসলামবিরোধী যে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে সে সম্পর্কে একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে ২০১৭ সালে বহু সংখ্যক হামলার ঘটনার কারণেই ইসলামভীতি বেড়েছে। অনেক নারীই অপ্রত্যাশিতভাবে কিশোর বয়সী অনেক হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা টেল মামার এক বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ১ হাজার ২০১টি রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। এগুলো যাচাই করা হয়েছে। ২০১৬ সালের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি মুসলিমবিরোধী হামলার সাক্ষী হয়েছে ব্রিটেন। এই সংস্থাটি এসব রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা বলে জানানো হয়েছে।
হামলার শিকার ১০ জনের মধ্যে ছয়জনই নারী এবং ১০ জনের মধ্যে আটজন হামলাকারীই পুরুষ। এদের বয়স ১৩ থেকে ১৮য়ের মধ্যে।
Advertisement
টেল মামার পরিচালক ইমান আত্তা বলেন, আমরা সত্যিই খুব উদ্বিগ্ন যে, আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ছেলেরা মুসলিমদের প্রতি হামলায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
টিটিএন/জেআইএম