ধর্ষণের বিচার চেয়ে প্রথমে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে যান। বিচার না পেয়ে পরে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে যান। সেখান থেকে বিচারবঞ্চিত হয়ে যান আদালতে। এর মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে যায়। ফলে অমীমাংসিত থেকে যায় বিচার।
Advertisement
এর মধ্যে মা হয়ে গেলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের ধর্ষিত প্রতিবন্ধী। এবার সন্তানের বাবার স্বীকৃতির জন্য আদালতে গেলেন ভুক্তভোগী।
এর আগে গত ১৭ জুলাই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন প্রতিবন্ধী। সেখানে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা ও সন্তান সুস্থ থাকলেও বাবার পরিচয় নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধীর মা মিনু খাতুন বলেন, ১০ মাস আগে আমি কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাই। সেখানে বেশ কয়েক মাস থাকি। একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়েকে রেখে যাই বাড়িতে। এই সুযোগে গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ের জামাই আনারুল বাড়িতে একা পেয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য প্রথমে মাতব্বর, পরে মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তারা বিচার না করায় পরে মামলা করি। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আনারুল। কিন্তু পরে আনারুল জামিনে বের হয়ে যায়। বিষয়টি আজও মীমাংসা হয়নি। এর মধ্যে মেয়েটি মা হলো। বর্তমানে ওই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছি। মানুষ বাজে কথা বলছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
Advertisement
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, গত ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে ওই প্রতিবন্ধী হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বর্তমানে মা ও ছেলে দুইজনই সুস্থ আছে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা রয়েছে। আসামি জামিনে রয়েছে। তবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আনারুল। এখন সন্তান এবং আনারুলের ডিএনএ টেস্ট করে ওই রিপোর্ট দ্রুত আদালতে জমা দেয়া হবে।
আসিফ ইকবাল/এএম/এমএস
Advertisement