ক্যাম্পাস

কৃষক ও উৎপাদনকারী পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে

উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) বরাবরই বিশেষ যত্নবান। এছাড়াও শিক্ষা কারিকুলাম হালনাগাদ ও মাঠের চাহিদানুযায়ী নতুন নতুন বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে দেখে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। অবহেলিত হাওর ও চর অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।

Advertisement

২২ জুলাই রোববার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭ বছর পূর্তি উদযাপন এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। কৃষিতে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে দুর্যোগ সহনশীল বিভিন্ন জাতের ফসল উদ্ভাবন করতে হবে। হাওর এলাকায় বছরে শুধু বোরো ধানের চাষ করা হয়। অনেক সময় আগাম বন্যার কারণে সেই ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বোরো ধানের উৎপাদনকাল কমিয়ে আনা গেলে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া কৃষি সাফল্য ধরে রাখতে কৃষক ও উৎপাদনকারী পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মাঠে প্রস্তুতকৃত প্যান্ডেল ও মঞ্চে ভয়বহ আগুন লাগলেও রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসতে সম্মত হন।

Advertisement

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ বছর পূর্তি উদযাপন এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করতে আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিকেল ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের পাশে নির্ধারিত স্থানে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও নির্বাহী সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা।

Advertisement

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম.এ. সাত্তার মন্ডল এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪ হাজার জন গ্রাজুয়েটসহ তাদের পরিবারবর্গ অ্যালামনাইয়ে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ অবদানের জন্য ১১ জন কৃতি অ্যালামনাইকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।

শাহীন সরদার/এমএএস/জেআইএম