আন্তর্জাতিক

গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে হামাস ও ইসরায়েল। শনিবার হামাস ও ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে হামাসের সংঘর্ষে এক ইসরায়েলি সেনার নিহত হবার পরপরই এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এল।

Advertisement

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামী সশস্ত্র গ্রুপ হামাসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

শনিবার সকাল থেকেই গাজা উপত্যকা শান্ত রয়েছে। কোনো ধরনের হতাহত বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ট্যাঙ্কগুলি কাঁটাতারের ওপারে ফিরে গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরাও গাজায় ফিরেছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেসামরিক লোকজন তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম চালিয়ে যেতে পারবেন।

এর আগে শুক্রবার এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হলে ইসরায়েল দফায় দফায় হামলা চালায়। এতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, ২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় দেড় মাসব্যাপী যুদ্ধ চলার পর হামাসের হামলায় শুক্রবার প্রথম কোনো ইসরায়েলি সেনা নিহত হবার ঘটলা ঘটল।

Advertisement

ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনটি প্রজেক্টাইল ছুড়েছিল হামাস। জওয়ানের মৃত্যুর হতেই গাজা স্ট্রিপে হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, হামাসের তিনটি ব্যাটেলিয়নের চত্বরের ৬০টি জায়গায় আক্রমণ করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের অস্ত্র তৈরির কারখানা, সুড়ঙ্গ, ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো তৈরির কারখানা, ইউএভি গুদামঘর, হামাস সদস্যদের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং নজরদারি শিবির সব গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

১৯৮৭ সাল থেকেই গাজার ক্ষমতা দখল করা হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইজরায়েলি সেনার। একইসঙ্গে গাজার ওপর কঠোর অবরোধ চাপিয়ে রেখেছে ইসরায়েল।

সূত্র: রয়টার্স

এসআর/পিআর

Advertisement