খেলাধুলা

বিশ্বকাপের মেডেল নেননি ক্রোয়েশিয়ার সেই ফরোয়ার্ড

রাগ-অভিমান দেখিয়ে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে মাঠে নামতে চাননি ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড। সেই একই অভিমান ধরে রেখে বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া রানার-আপ মেডেলও ফিরিয়ে দিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী নিকোলা কালিনিচ।

Advertisement

বিশ্বকাপ চলাকালীন গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একদম শেষদিকে কালিনিচকে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্বলাতকো দালিচ। কিন্তু পিঠের ব্যথার অজুহাত দিয়ে তখন মাঠে নামতে অপারগতা প্রকাশ করেন কালিনিচ।

যা কিনা মোটেও ভালো চোখে দেখেননি ক্রোয়েশিয়ান কোচ। ফলে ম্যাচ শেষে কালিনিচকে স্কোয়াড থেকে বের করে দেন দালিচ এবং সরাসরি দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। কারণ হিসেবে জানান পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে কালিনিচের মাঠে নামতে না চাওয়ার প্রবণতা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক ২টি প্রীতি ম্যাচেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এসি মিলানের এই ফরোয়ার্ড।

সেই থেকেই ঘটনার শুরু। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটের টিকিট পাওয়া ক্রোয়েশিয়া ধাপে ধাপে চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে। তবে ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে শেষ হয়ে যায় তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। রানার-আপ হওয়া ক্রোয়েশিয়ার প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই দেয়া হয় একটি করে সিলভার মেডেল।

Advertisement

যার একটি ছিলো ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে থাকা কালিনিচের জন্যও। দেশে ফিরে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সেই মেডেল পাঠানো হয় কালিনিচের কাছে। কিন্তু জমে থাকা অভিমানের কারণে এই স্বীকৃতি নিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন কালিনিচ।

মেডেল ফিরিয়ে দিয়ে কালিনিচ বলেন, ‘মেডেলের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি তো খেলিনি। এটি আমার জন্য নয়।’ ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন কালিনিচের পরপর এমন আচরণ ভালো চোখে দেখছে না। ধারণা করা হচ্ছে পুনরায় তার জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া খুব একটা সহজ হবে না।

এসএএস/এমএস

Advertisement