বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার দেখা যাচ্ছে, তামিম, মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মত অভিজ্ঞ ও সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরাও বাউন্সি পিচে গিয়ে বেসামাল। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারছেন না। সমস্যা হচ্ছে তাদের।
Advertisement
অনেকেরই মত, প্র্যাকটিস থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে সারা বছর স্লো-লো ও প্রাণহীন নীর্জিব উইকেটে খেলার কারণেই বাড়তি গতি, বাউন্স ও মুভমেন্টের মুখে বেকায়দায় পড়ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাদের ধারনা, দেশের মাটিতে দ্রুত গতির বাউন্সি ট্র্যাকে প্র্যাকটিস ও খেলার অভ্যাস করতে না পারলে বিদেশে গিয়ে অমন উইকেটে সমস্যা হবেই।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান ঠিক সেই মতালম্বীদের সাথে পুরোপুরি একমত নন। আকরামের ব্যাখ্যা, অবশ্যই বাউন্সি পিচে প্র্যাকটিস ও খেলার দরকার আছে। তবে প্রতিকূল কন্ডিশনে ভাল খেলার মানসিকতাটাও দরকার।
উইকেট প্রসঙ্গে অনেক কথার ভিড়ে আকরাম বোঝানোর চেষ্টা করেন, সবাই হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়। বাংলাদেশর স্পিন সহায় উইকেটে ইংল্যান্ডও বেসামাল হয়ে গেছে। এটা সব জায়গায়ই থাকে। ওই প্রতিকূল ও অনভ্যস্ত পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টাটাই আসল।
Advertisement
তারপরও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান জানান, দেশের মাটিতেও বাউন্সি উইকেট নির্মাণ করা হয়েছে। ইংল্যান্ড এখানে এসে আমাদের সাথে হারলো না উইকেটের জন্য? হোম অ্যাডভান্টেজ কিন্তু সবখানেই থাকে। বাইরে গিয়ে এ ধরনের খেলার প্রত্যাশা করাটাও ঠিক হবে না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন বাউন্সি উইকেট বানানোর চেষ্টা করছি।
আকরাম খান বলেন, ‘কক্সবাজার ও সিলেটে বাউন্সি উইকেট বানিয়েছি। এ বছর থেকে আমরা সেখানে খেলছি। এটি মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। পাশাপাশি মানসিকটার দিকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে যতই সুবিধা দিন, ক্রিকেটারদেরকে কিন্তু মাঠে গিয়ে পারফর্ম করতে হবে। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাকিটা ওদের ওপর। ওরাও যদি চেষ্টা করে তাহলে একটা সময় ভালো খেলবে। এই দলটিই কিন্তু গত চার, পাঁচ বছর চমৎকার ক্রিকেট খেলে আসছে। হয়তোবা এই সময়টা খারাপ যাচ্ছে, তবে ইনশাল্লাহ আমরা আবারো তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement