দেশজুড়ে

পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে বসে পড়লেন আরিফুল

সিলেটে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর দুই কর্মীকে ধানের শীষের প্রচারণায় অংশ নেয়ায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ছেড়ে দেয়ার দাবিতে নগরের উপশহরস্থ উপ-পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে বসে পড়েন মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

Advertisement

তবে ওই দুইজন বিএনপি কর্মীকে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে পুলিশ। ফলে ঘণ্টাখানেক ওই সড়কে অবস্থানের পর সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে বিএনপি নেতাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নগরের দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া থেকে রাসেল আহমদ ও সুমন আহমদ নামে বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপশহরস্থ মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ হক, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, ছালেহ আহমদ চৌধুরী খসরু, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ আরিফুলের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন।

Advertisement

প্রায় ঘণ্টাখানেক সড়কে বসে তারা দুই কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। একপর্যায়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ সেখানে আসেন। তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান আরিফুল।

পুলিশ কর্মকর্তা ফয়সল মাহমুদ বিএনপি নেতাদের জানান, ওই দুজনকে ওসমানীনগর থানার একটি নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। সেখান থেকে যেন তাদের জামিন করানো হয়। এরপর আরিফুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে যান।

ছামির মাহমুদ/এএম/আরআইপি

Advertisement