দেশজুড়ে

বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

বেনাপোলে বিদ্যুৎ বিভাগ ও মার্কেটের মালিকের খামখেয়ালি কারণে একের পর এক মৃত্যু ঘটনা ঘটছে। এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর পরও এবার মৃত্যু হলো এক কলেজছাত্রের। তবুও টনক নড়েনি তাদের। আর তাদের বোধদায় হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর।

Advertisement

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামের আবিদুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল। নাভরণ ডিগ্রি কলেজের বিএ অনার্সের ছাত্র। গত ১৫ জুলাই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য টুটুল ও তার ভাই বেনাপোলের গাতিপাড়া সড়কে বাবুর মার্কেটের ছাদে ডিস-লাইনের সংযোগ ঠিক করছিল। এ সময় ছাদের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের মেইন তারে জড়িয়ে টুটুল গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৬০ ভাগ ঝলসে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলের দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে তার মরদেহ বেনাপোলের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এ সময় স্বজনদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। শনিবার সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নিহতের মা শাহিনুর বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর এ মার্কেট নির্মাণ করার সময় এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এবার মৃত্যু হলো আমার ছেলের। শ্রমিক মৃত্যুর পর যদি বিদ্যুৎ ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের তারে কাভার লাগাতেন। তাহলে হয়তো এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।

এদিকে নিহতের পরিবারের সেবায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকাস্থ বেনাপোল সমিতি। খবর পেয়ে সমিতির সদস্যরা টুটুলকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিট যায় এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। তার মায়ের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন। আবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে যান সমিতির সদস্যরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল কার্যক্রম শেষে অ্যাম্বুলেন্সও ভাড়া করে দেন তার মরদেহ বেনাপোলে আনার জন্য। তাদের কার্যক্রমে খুশি নিহতের পরিবারসহ বেনাপোলবাসী।

Advertisement

মো. জামাল হোসেন/আরএ/জেআইএম