ধর্ম

যখন নামাজ না পড়লে দোষ নেই

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ঈমান লাভের পর মানুষের প্রথম ইবাদত নামাজ। নামাজই একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করা কুফরির শামিল।

Advertisement

কুরআন এবং হাদিসে নামাজের ব্যাপারে অনেক সতর্কবার্তা এবং সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি নামাজ মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখে।

অথচ ‘নামাজ না পড়লে কোনো অপরাধ নেই’-এটা আবার কেমন নামাজ? হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সুস্পষ্ট করেছেন। কোনো ব্যক্তি যদি ঘুমের কারণে বা বেখেয়ালে নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায়। সে ব্যক্তির নামাজ নির্ধারিত ওয়াক্তে না পড়ায় কোনো অপরাধ নেই।

হজরত আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, লোকেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ‘নামাজের কথা ভুলে গিয়ে’ ঘুমিয়ে থাকা সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তিনি বললেন, ঘুমন্ত ব্যক্তির (নামাজ না পড়ায়) কোনো অপরাধ নেই। জেগে থাকা অবস্থায় (কোনো ব্যক্তি নামাজ আদায় না করলে) দোষ হবে।

Advertisement

যখন তোমাদের কেউ নামাজের কথা ভুলে যায় অথবা তা (ওয়াক্তের সময়) আদায় না করে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে মনে পরার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করে নেবে।’ (তিরমিজি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)

আরও পড়ুন > চাশতের নামাজ মানুষের যে উপকারে আসে

অন্য হাদিসে এসেছে-হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায়ের কথা ভুলে গেছে, সে যেন (নামাজের কথা) মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করে নেয়।’

ঘুমের কারণে বা বেখেয়ালে নামাজের ওয়াক্তের কথা স্মরণ না থাকার কারণে যদি নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়। আর পরে নামাজের কথা স্মরণ হয় তখন ওয়াক্ত থাকুক আর না থাকুক; স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করে নেয়া উত্তম।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস